খেলাধুলা

জাতীয় দলে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে যা বললেন তামিম

লম্বা সময় ধরে ক্রিকেটে নেই তামিম ইকবাল। সবশেষ তিনি খেলেছিলেন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। তামিম কী জাতীয় দলে আবার ফিরবেন? ফিরলে কবে? এটা এখন বাংলাদেশের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমির মনের প্রশ্ন। আজ বুধবার (০৯ অক্টোবর) ভারতের স্পোর্টস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলে ফেরার বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সেখানে তিনি ফেরার ইঙ্গিত দিলেও বেশ কিছু পারিপার্শ্বিক বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তামিমকে যদি আবার খেলার জন্য অনুরোধ করা হয় তাহলে কি খেলবেন? এ বিষয়ে তামিম বলেছেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। তবে প্রশ্ন হলো- আমি কি ক্রিকেট বোর্ডের জন্য খেলি, নাকি দলের জন্য খেলি? তাহলে আবার খেলায় ফেরার অনুরোধটা কোথা থেকে আসবে? ক্রিকেট বোর্ড আমার পরিচর্যা করে, দেখাশোনা করে। সেক্ষেত্রে দলের খেলোয়াড়দেরও কিন্তু আমাকে স্বাগত জানানোর মনমানসিকতা থাকতে হবে।’

‘দলের সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং এটা নিয়ে আশা করছি সমস্যা হবে না। কিন্তু উদাহরণস্বরূপ, আমি যদি অধিনায়ক হতাম এবং আমরা যদি কিছু অর্জন করার লক্ষ্য থাকতো, সেক্ষেত্রে আমি কিন্তু আপনার সঙ্গে কথা বলতাম। আপনার সঙ্গে আমি আমার পরিকল্পনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শেয়ার করতাম। আপনাকে এই যাত্রায় সামিল করতে কনভিন্স করতাম। সেক্ষেত্রে আপনিও কিন্তু আমার জন্য সবকিছু করতে রাজি হতেন, সবকিছু করার নিশ্চয়তা দিতেন।’

‘আমি দলে যোগ দিলাম আর আপনি আমাকে দলে চাইলেন; দুটো কিন্তু ভিন্ন বিষয়। এখন এমন যদি পরিস্থিতি তৈরি হয় যেখানে আমি ও দল উভয় দিক থেকেই অনুভূত হয় যে আমার উপস্থিতি প্রয়োজন, তখন আমি নিশ্চয়ই বিষয়টা ভেবে দেখবো।’

তামিম অবশ্য জাতীয় দলে কেবল তিন, চার কিংবা পাঁচটি ম্যাচ খেলার জন্য ফিরতে চান না। তবে বিষয়টা যদি কোনো টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে হয় তাহলে ভিন্ন বিষয়। ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যদি চায় তাহলে তিনি বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

‘আসলে সবাই বলে ফিরে আসেন। আমরা আপনাকে চাই। কিন্তু আমি যদি কেবল পাঁচ ম্যাচ খেলার জন্য ফিরি তাহলে সেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সত্যিকার অর্থেই কি কোনো সাহায্য করতে পারবে? তাদের যদি যথাযথ কোনো পরিকল্পনা থাকে, তারা যদি কিছু অর্জন করতে চায় তাহলে আমি বিষয়টা ভেবে দেখবো। সেক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। এখন আপনি যদি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কথা বলেন, সেখানেও কিন্তু চার-পাঁচ ম্যাচের ব্যাপার। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আছে আরও তিনটি ওয়ানডে। সেক্ষেত্রে আমরা কেবল ছয়-সাত ম্যাচের বিষয়ে কথা বলছি। এছাড়া আমি সরে আসার পর আমার স্থানে কিন্তু কেউ খেলছে। সুতরাং মাত্র কিছু ম্যাচ খেলার জন্য ফেরার কোনো মানে হয় না।’

‘এখন বিসিবি যদি বলে তারা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য আমাকে চায়, তাহলে বিষয়টা ভিন্ন। অন্তত সেমিফাইনাল খেলার লক্ষ্য নিয়ে যদি তারা আমাকে চায় তাহলে ভিন্ন ব্যাপার। এক্ষেত্রে এই টুর্নামেন্টে আমার মতো তিন-চারজন সিনিয়র ক্রিকেটারের শেষ টুর্নামেন্ট হতে পারে। আমি মনে করি অতীতের সব ভিন্নতা ও ভুল বোঝাবুঝি একপাশে ঠেলে বিসিবি যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করতে পারে। আসলে এটাই হবে সঠিক পথ ও সঠিক উদ্যোগ।’