বিশ্বের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারদের একজন ভার্জিল ফন ডাইক। অথচ জাতীয় দলের হয়ে কখনো লাল কার্ড পাওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল না তার। নেশন্স লিগে সেই তেতো স্বাদ পেলেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক। সেই সঙ্গে হাঙ্গেরির বিপক্ষে পয়েন্ট খুইয়েছে তার দলও। সব মিলিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন ডাচ অধিনায়ক।
উয়েফা নেশন্স লিগে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) হাঙ্গেরির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্রয়ের ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন ফন ডাইক। জাতীয় দলের জার্সিতে ৭৭ ম্যাচ খেলে প্রথমবার এভাবে মাঠ ছাড়ার অভিজ্ঞতা হলো তার। তবে দুই হলুদ কার্ডের প্রথমটি মানতে পারছেন না লিভারপুল তারকা।
ম্যাচে ৩২তম মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় হাঙ্গেরি। দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটের মধ্যে দুই দফায় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ফন ডাইককে। নেদারল্যান্ডস তখনও পিছিয়ে ছিল। তবে হারতে হয়নি এটাই ভাগ্য। ১০ জন নিয়েও তারা সমতা ফিরিয়ে ১ পয়েন্ট বাগিয়েছে।
ম্যাচে প্রথম হলুদ কার্ডটা ফন ডাইক দেখেন রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায়। সতীর্থ দনিয়েল মালেন ফাউলের শিকার হলে রেফারির দিকে এগিয়ে গিয়ে কিছু বলেন ফন ডাইক। তাতেই বাঁধে বিপত্তি। পরেরটি নিয়ে অবশ্য তার কোনো আপত্তি নেই। ফাউল করে দেখেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড।
ম্যাচ শেষে ইএসপিএন নেদারল্যান্ডসকে ফন ডাইক বললেন, ‘এই লাল কার্ড কোনো কাজের নয়। কোনোভাবেই হওয়া উচিত হয়নি। আমি ক্ষুব্ধ বিশেষ করে প্রথম হলুদ কার্ডটি নিয়ে। তারা বলেন যে, কেবলমাত্র অধিনায়ক গিয়ে রেফারির সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। আমিও এগিয়ে যাই। পরিস্থিতি ছিল উত্তেজনাময়। তবে মোটেও বাজেভাবে কিছু বলিনি আমি, একদমই না।’
দলের অধিনায়কের লাল কার্ডের ব্যাপারে সাফ নাক সিটকে দিলেন কোচ রোনাল্ড কোম্যানও, ‘ওই মুহূর্তটি ছিল হতাশাজনক। আমার মাথায় তো কোনোভাবেই ঢুকছে না। আমরা তো সবাই একমত হয়েছিলাম যে, অধিনায়ক গিয়ে রেফারির সঙ্গে কথা বলতে পারবেন।’
পরের ম্যাচে সোমবার ডাচদের প্রতিপক্ষ জার্মানি। এমন বড় ম্যাচে অধিনায়ক ও রক্ষণভাগের বড় ভরসাকে না পাওয়ার অস্বস্তি অবশ্য তাদের থাকবে নিশ্চিতভাবেই।