খেলাধুলা

রাফিনহার হ্যাটট্রিকে বায়ার্ন দেয়াল টপকালো বার্সেলোনা

বায়ার্ন মিউনিখ লা লিগার দল না, এটা বার্সেলোনার জন্য স্বস্তির ব্যাপারই ছিলো এতোদিন। কিন্তু উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তো বায়ার্নকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বার্সেলোনার জন্য একরকম অবধারিত ঘাতকই হয়ে উঠেছিল বায়ার্ন। অবশেষে জার্মান জায়ান্টদের দেয়াল টপকাতে পারলো হ্যান্সি ফ্লিকের দল। চেনা আঙিনায় দারুণ ফুটবল উপহার দিয়ে রাফিনহার হ্যাটট্রিকে ৪-১ গোলে জিতলো স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শুরুতেই রাফিনহার গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। এরপর বায়ার্নের হয়ে এক গোল শোধ করেন হ্যারি কেইন। বাকি সময়ে বার্সেলোনার আধিপত্য। রবার্ট লেভানডোভস্কি ফের এগিয়ে নেওয়ার পর জোড়া গোলে হ্যাটট্রিক পুরণ করেন রাফিনহা।

ম্যাচের শুরুতেই বায়ার্ন শিবিরে আক্রমণ করে বসে বার্সেলোনা। গোলও পেয়ে যায়। ৫৮ সেকেন্ডের কথা। মাঝমাঠে ফেরমিন লোপেজের বাড়ানো বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় পারেননি বায়ার্নের এক ডিফেন্ডার। বল ধরে এগিয়ে বক্সে ঢুকে এগিয়ে আসা মানুয়েল নয়ারের বাধা এড়িয়ে জাল খুঁজে নেন রাফিনহা।

যে ভুলে বায়ার্ন গোল খেয়েছিল, সেই একই ভুলে বার্সেলোনা গোল হজম করে ম্যাচের অষ্টাদশ মিনিটে। বক্সে বাঁ দিক থেকে সের্গে জিনাব্রির পাসে পা বাড়িয়ে বলের দিক বদলে চমৎকার গোলটি করেন কেইন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিন ম্যাচে তার গোল হলো ৫টি। ক্লাবের হয়ে চলতি মৌসুমে ১১ ম্যাচে তার গোল হলো ১৪টি।

এরপর খানিক এলোমেলো ফুটবল উপহার দেয় বার্সেলোনা। তবে নিজেদের গুছিয়ে নিতেও সময় নেয়নি ফ্লিকের দল। তাতে ৩৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। লামিনে ইয়ামালের ক্রসে বলের দিক বদলে দেন লোপেজ। বাকি কাজটা সারেন অন্যপাশে থাকা লেভানডোভস্কি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে তিন ম্যাচে লেভানডোভস্কির গোল হলো ৩টি। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার গোল এখন ৯৭টি। এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৩ ম্যাচে ১৫ করলেন তিনি।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে স্কোরলাইন আরেকটু ভারি করেন রাফিনহা। ডান দিক থেকে মার্ক কাসাদোর ক্রস বাঁ দিকে প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একজনের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। দেরি না করে ডানপায়ের শটে জাল খুঁজে নেন বার্সেলোনা অধিনায়ক।

দ্বিতীয়ার্ধে দশ মিনিট বাদেই হ্যাটট্রিকও পেয়ে যান রাফিনহা। ৫৫তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ইয়ামালের ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে দুর্দান্ত গতির ঝলক দেখান। দুজনকে পেছনে ফেলে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন বক্সে। এরপর নিচু শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২৭ বছর বয়সী ফুটবলার। সেই সঙ্গে পেয়ে গেলেন চলতি মৌসুমে নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক।

বাকি সময়েও বায়ার্নকে কোণঠাসা করে রেখে আক্রমণ করে যায় বার্সেলোনা। তাতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পথও সুগম হয়। এই জয়ে তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ১০ নম্বরে উঠেছে বার্সেলোনা। টানা দ্বিতীয় হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ২৩ নম্বরে আছে বায়ার্ন।