গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে হামলা চালিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও দিনাজপুরের হিলিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সামবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে ‘সর্বস্তরের ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
রাঙামাটি:
আজ সকালে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে ‘সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার’ ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলেমা পরিষদের সভাপতি ও রাঙামাটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মওলানা শরিয়ত উল্লাহ, মাওলানা রহমতুল্লাহ, কাউসার আহমেদ ও মওলানা ইমামুদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর সাদপন্থীরা দেশে অরাজকতা তৈরি করে বর্তমান সরকারকে বেকাদায় ফলতে গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে জঘন্য হামলা করে। তারা ঘুমন্ত মুসল্লিদের ওপর আক্রমণ করে হত্যা করেছে। এই অপকর্ম করে তার দমে যায়নি। তারা আলেমদের নামে মামলা দিচ্ছে। তাদের এমন কাজের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বক্তারা আরো বলেন, সাদ হচ্ছেন ইন্ডিয়ান ‘র’-এর এজেন্ট। এসব লেবাসধারীদের বাংলার তৌহিদী জনতা মেনে নিতে পারে না। তারা আমাদের এই দেশে কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবে না। যদি চালায় তাহলে আমরা তা প্রতিহত করবো। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ করছি দেশের যে সব মসজিদে তাদের (সাদপন্থী) কার্যক্রম আছে, খোঁজ নিয়ে সেগুলো বন্ধ করে দিন।
দিনাজপুর: সকাল ১১টার দিকে হিলি বাজারের গোডাউন মোড় এলাকা থেকে বিভিন্ন প্লেকার্ড এবং ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তরা, গত ১৮ ডিসেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমার মাঠে গভীর রাতে তাবলীগের মুসল্লিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে তারা সাদপন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোররাতে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দখল রাখাকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে জুবায়েরপন্থি তিন জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। তবে, পুলিশ দুজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) টঙ্গী পশ্চিম থানায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকশ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী এস এম আলম হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলা সদর থানার গাইটাল গ্রামের মৃত এস এম মোক্তার হোসেনের ছেলে। তিনি জুবায়ের অনুসারীর কিশোরগঞ্জ জেলার আলমী শুরার সাথী।