বল হাতে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়ে উতরাতে না পারার পরই মূলত সাকিব আল হাসানের ভাগ্যের লিখন হয়ে যায়। বাদ পড়ে যান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে। তবুও সাকিব বলে কথা, প্রশ্ন উঠেছে শুধু ব্যাটার সাকিবকে খেলানো যেত না?
রোববার (১২ জানুয়ারি, ২০২৫) মিরপুরে দল ঘোষণার পর এমন প্রশ্ন ছুটে যায় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কাছে। রাখঢাক না রেখে লিপু জানিয়ে দিয়েছেন, এখন দলে যারা আছেন তারা সাকিব থেকেও যোগ্য।
“পাবলিকলি এত লেজেন্ডারি কাউকে না রাখার কারণ আলোচনা করা ঠিক হবে না। যারা আছেন তারা যোগ্য। ঘরোয়াতে রান করছেন।”
“বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সমস্যায় পরীক্ষায় নেগেটিভ তাই শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলতে পারবেন। আমরা তাকে দল গঠনে ব্যাটার হিসেবে বিবেচনা করেছি। কিন্তু কম্বিনেশনে শুধু ব্যাটার হিসেবে তাকে জায়গা দেওয়া যায়নি”-আরও যোগ করেন প্রধান নির্বাচক।
২০২৩ বিশ্বকাপের পর সাকিব আর ওয়ানডে খেলেননি। ২০২৪ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৬ ম্যাচে ৪৩.৬৬ গড়ে রান করেন ২৬২। স্ট্রাইক রেট ছিল ৯৯.২৪। ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাকিব নিজের শেষ ম্যাচে ৮২ রান করেছেন, হয়েছেন ম্যাচসেরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ম্যাচ জয়ের কারণে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নাম লেখাতে পারে।
সাকিবের সঙ্গে নির্বাচক প্যানেলের কোনো আলোচনা হয়েছে? “সাকিবের ব্যাপারটা ভিন্ন। অ্যাকশন নিয়ে ঝামেলায় ছিলেন। সাধারণত অপারেশন্স থেকে আলাপ হয়। সেই প্রক্রিয়া ফলো করা হয়েছে। আমরা অপারেশন্স থেকেই ফিডব্যাকটা পাচ্ছি”-বলেছেন প্রধান নির্বাচক।
গতকাল রাতে বল হাতে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় বিসিবি। সাকিব যদি বল হাতে নিষিদ্ধ না হতেন তাহলে কি বিবেচনায় থাকতেন?
প্রধান নির্বাচক বলেন, “কেউ রিটায়ার না করলে এভেইলেবল, প্রেসিডেন্ট যেমন বলেছেন। ফিটনেস বা অন্য সমস্যা আছে কিনা সব ক্লিয়ারেন্স আমরা চাই। এখানে আসার আগেই বোর্ডকে নাম দিয়েছি। দ্বিতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি।”