তামিম ইকবাল নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সবচেয়ে সহজ ছিল। তাই তো সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, ‘আর কে হতে পারে অধিনায়ক। অধিনায়ক তো আমাদের একজনই পছন্দ, সাকিব আল হাসান।’
এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্য সাকিবকে অধিনায়কত্ব দিয়েছে বিসিবি। কোনো শর্ত ছাড়া সাকিব দায়িত্ব গ্রহণ করলেও বিশ্বকাপের পর সরে আসবেন তিনি। টি স্পোর্টসে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সাকিব এই কথা বলেছেন।
সাকিব এখন তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টির পর টেস্ট এবং সবশেষ এশিয়া কাপের আগে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব পান তিনি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হারিয়েছে আফগানিস্তান ও ভারতকে। এছাড়া শ্রীলঙ্কার কাছে দুইবার ও পাকিস্তানের কাছে একবার হেরেছে।
বিশ্বকাপে লম্বা সফর। নয়টি ম্যাচ খেলতে হবে। এই নয় ম্যাচ দিয়েই ওয়ানডের অধিনায়কত্বের ইতি টানবেন বলে জানিয়েছেন সাকিব,‘এখনকার যে বাস্তব পরিস্থিতি আছে, আমি এই বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করব। একদিন পরেও না। আমি বিশ্বাস করি, আমরা এই বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে পারব। আপনাদের সমর্থন থাকলে আমরা আসলেই ভালো কিছু করতে পারব।’
বলা হচ্ছিল এবারের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব সাকিব নিয়েছিলেন লম্বা সময়ের জন্য এবং বেশ কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছিলেন। সাকিব জানিয়েছেন, নেতৃত্ব গ্রহণ করতে কোনো শর্তই তিনি দেননি। বরং গণমাধ্যমের খবরে তিনি আনন্দ পেয়েছিলেন। তার দাবি, ‘একটা শর্তও দিইনি। কেউ যদি বলে আমি একটা শর্ত দিয়েছি যে আমি এটা চাই, এ রকম হলে ভালো হতো, কিন্তু কেউ বলতে পারবে না। একটা শর্তও না। যখন আমি এগুলো নিউজে দেখেছি, শুধু হেসেছি। কখনো বলিনি।’
ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়লেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে কি করবেন তা জানতে চাননি উপস্থাপক। তাই আড়ালে পড়ে গেছে তার অন্য দুই ফরম্যাটে অধিনায়কত্বের ভাবনা। সাকিব ২০১১ সালে বাংলাদেশকে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেবার মাশরাফির চোটের কারণেই বিশ্বকাপে অধিনায়ক ছিলেন তিনি। এবার তামিমের অনুপস্থিতিতে। নিজের খেলা দ্বিতীয় বিশ্বকাপের সফর একদমই ভালো যায়নি তার। এবার কেমন করবেন তিনি? প্রশ্নটা সময়ের কাছেই তোলা থাক।