চার ম্যাচে তিন হার। জয় কেবল একটি। বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দেখলে বোঝার উপায় নেই, বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার লক্ষ্য নিয়ে আসা দলটির সামনের পথ অনেকটাই ধূসর। হাতে পাঁচ ম্যাচ আছে বলেই হয়তো বড় কিছু করার স্বপ্ন এখনও টিকে আছে। সেজন্য অতীতের পারফরম্যান্স নিয়ে সাকিব উদ্বিগ্ন নন। বরং ভবিষ্যতে ভালো করে বড় সাফল্যর খোঁজে।
আফগানিস্তানকে উড়িয়ে বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু বাংলাদেশের। এরপর একের পর এক শুধুই হতাশা। তবে এখনই হাল ছাড়তে নারাজ সাকিব। এজন্য সবাইকেই হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানালেন। সঙ্গে যোগও করলেন, বিশ্বকাপ শেষে মন খুলে হতাশা প্রকাশ করার। সমালোচনা করার।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টে অন্য চেহারায় আসা দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কাকে পাত্তা না দেওয়া প্রোটিয়ারা অবশ্য নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছে। তাদের বিপক্ষে লড়াইটা সহজ হবে না। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে খেলার পর বাংলাদেশ ইডেনে খেলবে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দিল্লিতে এবং পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়বে সাকিবরা। সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে পরের পাঁচ ম্যাচের সবকটিই বাংলাদেশের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।
হাল না ছাড়া সাকিব এখনও নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে চান, ‘স্বপ্ন তো... এখনও ওই সম্ভাবনা আছে। আমরা (ভালো করতে) না পারলেও অন্যরা আমাদের সাহায্য করছে। ওইরকম যদি হতেই থাকে আর আমরা যদি নিজেদের একটু এগিয়ে নিতে পারি, স্বপ্ন সত্যিও হয়ে যেতে পারে। এখনও তো খুব ভালো সুযোগ আছে আমাদের। এত তাড়াতাড়ি হতাশ হবেন না। শেষ হলে হতাশ হয়েন। মন ভরে হতাশ হয়েন (হাসি)। কোনো সমস্যা নেই।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ চার ম্যাচের তিনটিই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে উদ্বোধনী ম্যাচে প্রোটিয়াদের হারায় বাংলাদেশ। এরপর তাদের মাটিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে বাংলাদেশ জেতে ২-১ ব্যবধানে। এ পরিসংখ্যান বাংলাদেশকে বেশ আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। জয়ের স্বপ্নও দেখাচ্ছে। পয়েন্ট টেবিলে ভালো অবস্থানে থাকায়, এবার নিজেদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘এখান থেকে জিতে যেতে পারলে মোমেন্টাম আমাদের সাথে আসবে, খুবই ভালো অবস্থানে চলে আসব। যদিও খুব একটা ম্যাচ জিতিনি, তবে পয়েন্ট টেবিল দেখলে খুব একটা বাজে অবস্থায়ও নেই (হাসি), সত্যি কথা। অন্যান্য দল আমাদের সহায়তা করছে। এখন আমাদের দায়িত্ব আমরা নিজেদের সাহায্য করে কতটা ভালো অবস্থায় যেতে পারি।’
উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে বাংলাদেশ সত্যিই হারাতে পারলে নিজেদের হারিয়ে ফেলা আত্মবিশ্বাসে কিছুটা জ্বালানি পাবে। তাতে পরবর্তী ম্যাচগুলোতেও ভালো খেলার সম্ভবনা তৈরি হবে। নাটাই বাংলাদেশের হাতে। নিজেদের পারফরম্যান্সের ঘুরি কতটা উড়াতে পারেন সেটাই দেখার।