খেলাধুলা

‘লাইন ও লেংথ ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি এবং সেটা পেরেছি’

ম্যাচসেরা বাছাই করতে গিয়ে জুরিদের ঘাম ছুটে যাওয়ারই কথা। কেননা, নিউ জিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে ওয়ানডেতে প্রথমবার হারানো ম্যাচে যে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলাদেশের চার পেসার। এদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ১ উইকেট। বাকি তিনজন শরিফুল ইসলাম, তানজীম হাসান সাকিব ও সৌম্য সরকারের দখলে সমান ৩টি করে উইকেট। তবে ম্যাচের সেরা কে?

ওপেনিং স্পেলে বোলিং শুরু করা শরিফুলের ফিগার ৭ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট।  নতুন বলে তার সঙ্গে অন্য প্রান্ত থেকে বল করা তানজিম হাসান ৭ ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন। মেডেন ২টি। মিডিয়াম পেসার সৌম্য সরকার ৬ ওভারে ১৮ রানে নেন ৩ উইকেট। ১টি মেডেনও আছে। তবে ইকোনমি, মেডেন সংখ্যা এবং উইকেট বিচারে তানজীমই হয়েছেন ম্যাচসেরা।

৮ম ওভারের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের ২২ রানে প্রথম দুই উইকেট হারানোর কারিগর ছিলেন এই পেসার। ভেতরে–বাইরে দুই দিকেই সুইং আদায় করে নেওয়া তানজীম প্রথম উইকেট পান রাচিন রবীন্দ্রকে ৮ রানে বিদায় করে। হেনরি নিকোলস এবং টম ব্লান্ডেলকেও ফেরান এই পেসার। আর তাতেই ৫ ম্যাচের ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং ফিগারের দেখা পান।

এমন বোলিংয়ের পর ম্যাচ শেষে সম্প্রচারক চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলেন তানজীম। যেমন চেয়েছেন তেমনই পারফরম্যান্স হয়েছে বলে জানান ২১ বছর বয়সী এই পেসার। তানজীম বলেন, ‘নিজের পারফরম্যান্সে আমি সত্যিই সন্তুষ্ট। যেভাবে শুরু করেছিলাম সেটা ভালো ছিল। বোলিংটা উপভোগ করেছি। বল ভেতরে ঢুকছিল, সিমে পড়ে মুভ করছিল।’

আগের ম্যাচে যা চেয়েছেন তা পাননি। এই ম্যাচে সেটা পেয়ে বেশ খুশি এই পেসার, ‘লাইন ও লেংথ ধরে রেখে চেষ্টা করেছি উইকেট টু উইকেট বল করার। বাকি কাজ পিচ করেছে এবং সেখান থেকে সাহায্যও পেয়েছি। পেসারদের জন্য এটা দারুণ পিচ। লাইন ও লেংথ ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি এবং ভালো লাগছে যে সেটা পেরেছি।’

এ নিয়ে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিপক্ষের ১০ উইকেটই নিলো বাংলাদেশের পেসাররা। নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথামও হারের পর বাংলাদেশের বোলারদের প্রশংসা করেন, ‘অবশ্যই আমরা প্রত্যাশার চেয়েও বাজে খেলেছি...বাংলাদেশ (বোলাররা) মুভমেন্ট পেয়েছে এবং ভালো জায়গায় বল করেছে। তাদের প্রশংসা করতেই হবে।’

ম্যাচে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) নেপিয়ারে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশী পেসারদের তোপের মুখে শতরানের ঘরও পার হতে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। ৩১.৪ ওভারে ৯৮ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। জবাব দিতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারিয়ে ২০৯ বল হাতে রেখেই নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডেতে প্রথম জয় তুলে নেয় শান্তর দল।