বিপিএল রাতের ম্যাচে আবার রান দেখল। শিশিরের প্রাদুর্ভাব ম্যাচে যে প্রভাব রেখেছে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। বল স্কিড করায় ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়। বোলাররা তাতে ভুগেছে।
খুলনা টাইগার্স ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচে মোট রান হলো ৩৭৫। যা এখন পর্যন্ত বিপিএলে সর্বোচ্চ। প্রথম দিন সিলেট ও চট্টগ্রামের ম্যাচে ৩৫৭ রান হয়েছিল। মিরপুর শের-ই-বাংলায় টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। ৮ উইকেটের জয়ে টানা দ্বিতীয় বিজয় পেয়েছে তারা।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ফরচুন বরিশাল ৪ উইকেটে ১৮৭ রান তোলে। জবাবে খুলনা টাইগার্স ১২ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে।
বড় লক্ষ্য তাড়া করার জন্য শুরুটা যেমন প্রয়োজন এভিন লুইস সেই যোগান দিয়েছেন ঠিকঠাক মতো। ২১ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৫০। যেখানে ছিল ৫ চার ও ৫ ছক্কা। স্পিনার শোয়েব মালিক ও রাকিবুল হাসানকে যেভাবে উইকেটের চারিপাশে চার ছক্কা উড়িয়েছেন তাতে মনে হচ্ছিল এবারের বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি তার ব্যাট থেকেই আসবে। তবে তেমন কিছু হয়নি। ২৪০.৯০ স্ট্রাইক রেটে সাজানো ২২ বলে ৫৩ রানের ইনিংসটি গড়ে দেয় ব্যবধান। তার বিধ্বংসী ইনিংসে পাওয়ার প্লেতে ৮৭ রান তোলে খুলনা। যা বিপিএলে সর্বোচ্চ।
লুইসের ঝড়ের পর জয়ের পথে দলকে এগিয়ে নেন আফিফ ও এনামুল। দুজনের ৫৯ বলে ৭৫ রানের জুটিতেই খুলনার পথ মসৃণ হয়ে যায়। হাফ সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকতে আফিফ সীমানায় ক্যাচ দিয়ে ফিরলেও এনামুল বিজয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ৪৪ বলে ৬৩ রান করেন ৩টি করে চার ও ছক্কায়। তার সঙ্গে শাই হোপ অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে।
এদিকে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম টানা দ্বিতীয় ম্যাচে রান পেয়েছেন। ৩৩ বলে করেছেন ৪০ রান। শুরুতে যতটা আক্রমণাত্মক ছিলেন সময়ের সঙ্গে আটকে যান। তাতে রান তোলার গতিও কমে আসে। প্রথম ১৭ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৫ বাউন্ডারি। পরের ১৬ বলে বাউন্ডারি মারতে পারেননি একটিও। এই ইনিংস খেলার পথে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএলে তিন হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম।
বরিশালের ইনিংস টেনেছেন মুশফিকুর রহিম। ৩৯ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৬৮ রান। ১৭৪.৩৫ স্ট্রাইক রেটে সাজান ইনিংসটি।
মাঝে সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও রাখেন অবদান। সৌম্য ১০ বলে ১৭ রান করেন ২ চার ও ১ ছক্কায়। পয়েন্টে ফিল্ডার সোহানের হাতে বল দিয়ে রান নিতে গিয়ে আউট হন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
মাহমুদউল্লাহ ১৯ বলে ২৭ রান করেন ২টি করে চার ও ছক্কায়। ১৫ ওভার শেষে বরিশালের রান ছিল ১২৬। সেখান থেকে শেষ ৫ ওভারে ৬১ রান তুলে বরিশাল স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল ঠিকই। কিন্তু খুলনার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্লান হয়ে যায় তাদের পুঁজি।