খেলাধুলা

রাচিনের ডাবল সেঞ্চুরির পর প্রোটিয়াদের ব্যাটিং ধ্বস

আগের দিন শেষ করেছিলেন ১১৮ রান নিয়ে। কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে গড়েছিলেন দুই শতাধিক রানের জুটি। দ্বিতীয় দিন উইলিয়ামসন দ্রুত থামলেও রাচিন থেমেছেন একেবারে ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ২৪০ রানে।

রাচিনের ইনিংসে ভরে করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৫১১ রানে থেমেছে নিউ জিল্যান্ড। রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে প্রোটিয়ারা। ৪ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে তারা। নিউ জিল্যান্ড এগিয়ে ৪৩১ রানে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরি পেলেন রাচিন। নিউ জিল্যান্ডের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম টেস্ট শতককে দ্বিশতকে রূপ দিলেন ২৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। তার আগে এই কীর্তি ছিলো মার্টিন ডনেলি ও ডেভন কনওয়ের।   আগের দিন কেইন উইলিয়ামসনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন থেকে দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামেন রাচিন। ৩৪০ বল খেলে আজ ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। উইলিয়ামসন অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। ১১৮ রানের মাথায় ফেরেন কিউই অধিনায়ক। তাতে থামে দুজনের ৪৭২ রানের জুটি।

এরপর ড্যারিল মিচেলকে নিয়ে আরেকটি শতরানের জুটি গড়ে তোলেন রাচিন। এই জুটি থামান নিল ব্রান্ড। ৩৪ রানে থামা মিচেল ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে শট খেলেন বেশ জোরে। সেটিই দুর্দান্ত রিফ্লেক্সে মুঠোয় জমিয়ে ফেলেন ব্রান্ড। জুটি শেষ হয় ১০৩ রানে। টম ব্লান্ডেল ফেরেন দ্রুতই। এরপর গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে এগিয়ে যান রাচিন।

৭১ বলে ৮২ রানের জুটি শেষ হয় ফিলিপসের বিদায়ে। এরপর রাচিনও আর টেকেননি বেশিক্ষণ। শেষ দিকে ৩ ছক্কায় ম্যাট হেনরির ৯ বলে ২৭ রানের ক্যামিওতে ৫০০ ছাড়িয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড। তাকে বিদায় করার পর টিম সাউদিকেও ফিরিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ করেন ব্রান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৪৪ ওভারে ৫১১ (উইলিয়ামসন ১১৮, রবীন্দ্র ২৪০) দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ২৮ ওভারে ৮০/৪ (মুর ২৩, ব্রান্ড, হামজা ২২, বেডিংহ্যাম ২৯*)