খেলাধুলা

এত বছরের সম্পর্ক, এক দিনের কথায় নষ্ট হয় না: সালাউদ্দিনকে নিয়ে নাজমুল

দুজন দেশের সবচেয়ে বড় দুই ক্রীড়া সংস্থার হর্তা-কর্তা। একটা সময় দুজনের মধ্যে ক্রীড়া বিষয়ক নিয়ে শুরু হয় বাগযুদ্ধ। এর মধ্যে বদলে গেছে দিন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন হয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী। আর কাজী সালাউদ্দিন আছেন আগের অবস্থায়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রেসিডেন্ট হিসেবে।

পজিশন যেন বদলে দিয়েছে সব কিছু। ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে নাজমুল এখন দেশের সবধরণের ক্রীড়ার অভিভাবক। মনোমালিন্য কিংবা ব্যক্তিগত সম্পর্কের উর্ধ্বে সব কিছু। আগের সব তিক্ততা ভুলে তাইতো নাজমুল ছুটে গেলেন অসুস্থ সালাউদ্দিনকে দেখতে, তারই বাসভবনে।

মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সালাউদ্দিনকে দেখতে তার বাসভবনে যান নাজমুল। দু’জনে বেশ কিছুক্ষণ সময় আলাদাভাবে কথা বলেন। সাক্ষাত শেষে অপেক্ষমান সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন নাজমুল। অস্ত্রপচারের পর বাসায় বিশ্রামে থাকা সালাউদ্দিন আগের চেয়ে ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী।  

‘দেখে মনে হয়েছে, আল্লাহর রহমতে উনি খুব ভালো আছেন এখন। হাঁটাচলা করছেন স্বাচ্ছন্দ্যে, যেটা দেখেই ভালো লাগছে। স্বাভাবিকভাবেই এমন সার্জারির পর আরও কিছু সময় লাগবে ওনার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে।’

সালাউদ্দিন অসুস্থ থাকলেও দুজনের মধ্যে খেলা নিয়েই বেশি আলাপ হয়েছে। সালাউদ্দিনের কাছে নাজমুল কিছু কাগজপত্রও চেয়েছেন, যাতে এগুলো দেখে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ইতোমধ্যে বাফুফের সঙ্গে একবার বৈঠকে বসেছেন তিনি।

‘মাঠের সমস্যাটাই এখন মূল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের কাজের অগ্রগতির জন্য আমি জোর চেষ্টা করব। আর কোথায় ফুটবলের জন্য মাঠের ব্যবস্থা করা যায় সেটাও দেখব’ -বলেছেন নাজমুল।

এর আগে দুজনের তিক্ততা নিয়ে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন নাজমুল। তার উত্তর এত বছরের সম্পর্ক এক দিনে নষ্ট হয়ে যায় না, ‘এত বছরের সম্পর্ক, এক দিনের কথায় তো আর নষ্ট হয় না। ছোটবেলায় মাঠে যেতামই তো ওনার খেলা দেখতে। ওনার মতো কিংবদন্তি ফুটবলার তো আর কেউ নেই। সেই ব্যাপারটা তো আছে। অনেক সময় অনেক কথা হয়, তাতে উনিও আঘাত পেতে পারেন, আমিও পেতে পারি। কিন্তু সম্পর্ক তো শেষ হয়নি।’

গত ডিসেম্বরে হৃদযন্ত্রের অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সালাউদ্দিন। এরপর করা হয় বাইপাস সার্জারি। বর্তমানে তিনি নিজের বাসভবনে বিশ্রামে আছেন।