নয় বছর পর প্রধান নির্বাচক পদে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০২৪ সালে মিনহাজুল আবেদীনের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেনি বিসিবি। তার জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে বিসিবির পরিচালক, সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে।
বিদায়ী প্রধান নির্বাচক যাবার আগে বলেছিলেন, ‘যে-ই দায়িত্বে আসুক না কেন, আমাদের স্টাইলে কাজ করতে হবে।’ বেশ তিক্ততা নিয়ে কথাটা বলেছিলেন। কেননা স্বাধীনভাবে তিনি কাজ করতে পারেননি। ছিল দল নির্বাচনের দ্বিস্তর নীতি। দল নির্বাচন নিয়ে সব সময়ই তাকে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কথা শুনতে হয়েছে। ফলে নিজের চাওয়া অনেক সময় চাইলেও পূরণ করতে পারেননি মিনহাজুল।
প্রথমবারের মতো নির্বাচক পদে আসা গাজী আশরাফ কোন স্টাইলে কাজ করবেন? জানতে চাওয়া হলে সরাসরি বলেছেন, ‘আমি কোন স্টাইলে কাজ করব বা করতে পারব নাকি পারব না, এটা সময়ই বলে দেবে। ভালো কিছুর সঙ্গে আপোস করতে কখনোই দোষ নেই, যদি সেটা বৃহত্তর স্বার্থে হয়। সেই ইগো নিয়ে কখনোই চলব না। কেউ যদি আমার চেয়ে ভালো কোনো পরামর্শ দেয় এবং সেটা যদি দলের জন্য ভালো হয়, তাহলে মোস্ট ওয়েলকাম। পাশাপাশি আমাদের যে কাজটা, সেই জায়গায় যদি স্বাধীনতার খর্ব হয়, তাহলে সেটা আপত্তিজনক।’
কোচের সঙ্গে সম্পর্কটা ভালো থাকুক এমন চাওয়া গাজী আশরাফের, ‘আমাদের দুজনের এবং গোটা দলের (নির্বাচক কমিটির) তো একই লক্ষ্য যে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যেন ভালো করে, পারফর্ম করে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করব ও এগোব।’
গাজী আশরাফের চাওয়া ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্রিকেটাররা দুর্দান্ত পারফর্ম করুক যেন তাদের কাজটাকে প্রবল চাপে ফেলতে পারে, ‘আমি চাই সবাই ভালো খেলুক এবং আমাদেরকে চাপে ফেলুক যে কাকে রেখে কাকে নেব, সব ভালোর মধ্য থেকে।’