খেলাধুলা

কেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বিপিএলের সেরা?

বিপিএলের নয় আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চারবার চ্যাম্পিয়ন। দশম আসরেও শিরোপা জয়ের পথে তারা। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জিতে এরই মধ্যে চলে গেছে ফাইনালে। মাঠের ক্রিকেটে তাদের আরেকটি ভালো দিন তাহলেই বিপিএলের পঞ্চম শিরোপা তাদের।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, এই দলটি তৃতীয় আসর থেকে বিপিএলে নিয়মিত। আগের দুই আসরে সিলেট রয়্যালসের মালিকানায় তাদের অংশীদারিত্ব ছিল। কিন্তু তৃতীয় আসর থেকে নিজেদের তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা ফ্র্যাঞ্চাইজি চালাচ্ছে তারা। প্রথম আসরেই বাজিমাত। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে কুমিল্লা বিপিএল চ্যাম্পিয়ন। পরের দুই আসরে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স আসেনি।  ২০১৮ সালে ফের তাদের ঘরে শিরোপা। ২০১৯ সালে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খেলেনি। এরপর ফিরে এসে টানা দুই বছর চ্যাম্পিয়ন। এবার হ্যাটট্রিক শিরোপার অপেক্ষায় তারা। 

বিপিএলের সবচেয়ে সফল দল হিসেবে এরই মধ্যে নাম কুড়িয়েছে কুমিল্লা। শুরুর দুই আসর এবং বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ বাদ দিলে কুমিল্লা নয় আসরে অংশ নিয়েছে ছয়টিতে। যার চারটিতেই তারা চ্যাম্পিয়ন। এবার প্রত্যাশামাফিক উঠেছে ফাইনালে। কেন তারা বিপিএলে সেরা দল? উত্তর মিলেছে বেশ কয়েকবারই।

তবে ঘরের খবরটা এবারের অধিানয়ক লিটন দাসই দিলেন, ‘আমাদের দলটা খুব ফ্রেন্ডলি। ম্যানেজমেন্ট থেকে কখনোই (চাপ নেই)…একটা নতুন ছেলে যদি দলে আসে সে কখনোই বুঝবে না যে আমরা এতো সিনিয়রদের সঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছি। স্যার অনেক ফ্রি। ম্যানেজারও অনেক ফ্রি। এরকমটাই হওয়া উচিত।’

কুমিল্লার চার শিরোপা জয়ের পেছনের কারিগর কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। স্থানীয় ক্রিকেটাররা তো বটেই বিদেশ থেকে যারা খেলতে আসেন তারা প্রত্যেকেই সালাউদ্দিনের প্রশংসা করেন। এবার মঈন আলী সরাসরি বলেছেন, ‘সালাউদ্দিনকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হতে না দেখে আমি একটু অবাক।’

লিটন ফাইনালে উঠার রাতে কোচের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘স্যারের কিছু ধরাবান্ধা জিনিস আছে যে,  স্যার এক খেলোয়াড়কে অনেক দিন সুযোগ দেয়। এটাই স্বাভাবিক হওয়া উচিত। আপনি একজন খেলোয়াড়কে এক মৌসুম দিয়ে বিচার করতে পারবেন না। স্যার দেখে। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে সবাই। এদিক থেকে এটা ভালো। একজন খেলোয়াড়কে যদি স্বাধীনতাটা দেন, তুমি এখানে এসেছ। জাস্ট খেলো। মজা করো। আমার মনে হয় তাহলে সে তার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। এদিক থেকে সালাউদ্দিন স্যার বেস্ট।’

রংপুরকে স্রেফ উড়িয়ে কুমিল্লা ফাইনালের টিকিট পেয়েছে।  রংপুরের দেওয়া ১৮৬ রান তাড়ায় তাওহীদ ও লিটন ১৪৩ রানের জুটি গড়েন। লক্ষ্য তাড়ায় দুজন অনবদ্য ফিফটি পেয়েছেন। প্রতি আক্রমণে গিয়ে দুজনের এমন দৃষ্টিনন্দন ইনিংস প্রশংসিত হচ্ছে সর্বত্র।

লিটনও নিজেদের অর্জনে দারুণ উচ্ছ্বসিত, ‘নরম্যালি আমরা এতো বড় বড় রান তাড়া করি না। সেদিক থেকে ওয়ান অব দ্য বেস্ট বলা যায়। যেহেতু দুজনই বাঙালি এবং দুজনই জাতীয় দলের খেলোয়াড়। আশা করি আমরা সামনে এভাবে কন্টিনিউ করতে পারব।’