খেলাধুলা

দুই দলের টপ অর্ডারই ভালো করেনি: শান্ত

সিলেট টেস্টে চার সেঞ্চুরি এলেও টপ অর্ডার থেকে আসেনি একটিও। শ্রীলঙ্কার হয়ে উভয় ইনিংসে দুটি করে সেঞ্চুরি করেছেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। প্রথম ইনিংসে দুই ব্যাটসম্যান জুটি বেঁধে সেঞ্চুরি করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে একই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি। এই টেস্টে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি মুমিনুলের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৭। এছাড়া বাকিটা সময়ে স্রেফ তালগোল পাকানো পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।

নতুন বলে দুই দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরাই ভুগেছে। শুধু টপ অর্ডার নয়, মিডল অর্ডারের পারফরম্যান্সেও ছিল না তেজ। এই টেস্টে খেলা হয়েছে কুকাবুরা বলে। এই বলের উজ্জ্বলতা ২০ ওভার পর্যন্ত টেকসই হয়। বল পুরোনা হতে থাকলে নরম হতে থাকে। তখন ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজ সহজ হয়। নতুন বলে কঠিন সময়ে দুই দলের কেউই ভালো করেননি শান্ত সেই দিকটিই সামনে আনতে চাইলেন।

ম্যাচ শেষে শান্ত বলেছেন, ‘ব্যাটিং যদি দুই ইনিংসেই দেখি, টপ অর্ডার ভালো করেনি। শুধু আমরা যে সমস্যায় পড়েছি এমন না। দুই দলেরই টপ অর্ডারের সমস্যা হয়েছে।’ শান্তর কথায় মিল থাকলেও এই ব্যর্থতার কারণেই ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছেন সেই অজুহাত দাঁড় করাননি। তার কথা, ‘বড় রানের হোক আর ছোট রানের হোক, হার তো হার। এই অজুহাত দেওয়াও ঠিক হবে না। কীভাবে আরও ভালো করতে পারি এটা নিয়ে কাজ করা দরকার।’

বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা প্রথম দিনের প্রথম সেশনে ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারায়। আরো একটি সাফল্য পেত বাংলাদেশ যদি মাহমুদুল হাসান জয় কামিন্দু মেন্ডিসের ক্যাচ নিতে পারতেন। জীবন পেয়ে কামিন্দু ১০২ রান করেন। তার সঙ্গে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও ১০২ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার আবার ব্যর্থ হয়। ৬৪ রানে হারায় ৪ উইকেট। ১১৩ রানে ৫। সেখান থেকে জুটি বেঁধে ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু আবার সেঞ্চুরির দেখা পান। গড়েন ইনিংস। ক্রিকেট বিশ্বের তৃতীয় ম্যাচ যেখানে একই দুই ব্যাটসম্যান পরপর দুই ইনিংসে হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে গুটিয়ে যায়। ৮৩ রানে হারায় ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধেক ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন তখন দলের রান ৩৭। ৫১ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতন। শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস থাকলেও বাংলাদেশের কেউ ছিল না। তাতে রান পাহাড়ে চাপা পড়ে স্বাগতিকরা। শেষমেশ বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যায় ৩২৮ রানে যা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রানের ব্যবধানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০০৯ সালে তাদের বিপক্ষে ৪৬৫ রানের পরাজয়ও আছে বাংলাদেশের।

বিশাল ব্যবধানে হারলেও এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শেখার ছিল বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। তার মুখ থেকেই শুনুন বাকিটা, ‘প্রত্যেক ম্যাচেই অনেক কিছু শেখা যায়। কী ভুল ছিল, কী ঠিক ছিল। একটু ভালোভাবে চিন্তা করলে শেখার আছে। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে দিবে। টেস্ট ম্যাচে আসলে আলগা মনোভাবের অপশন নেই। কোনো খেলোয়াড় আলগা মনোভাবে ছিল না। সুযোগ এসেছিল, হয়নি। এটাও খেলার অংশ। সবাই নিজেদের শতভাগ দিয়েছে। ওদের দুই ব্যাটারকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’