প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) মাঠে প্রথম লেগ জিতে ঘরের মাঠে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনাই। শুরুতে ব্যবধান ধরেও রাখে তারা। কিন্তু ১০ জনের বার্সেলোনা আর পেরে ওঠেনি পিএসজির গতিশীল ফুটবলের সঙ্গে। তাতে ঘুরে দাঁড়ানো দারুণ এক জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌছে গেল ফরাসি জায়ান্টরা।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বার্সেলোনার মাঠে পিএসজির জয় ৪-১ গোলে। প্রথম লেগে বার্সেলোনা ৩-২ গোলে জিতলেও দ্বিতীয় লেগে পিএসজির জয় ৪-১ গোলে। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৪ গোলের অগ্রগামিতায় লুইস এনরিকের দল পৌঁছে গেল পরের ধাপে।
ম্যাচে প্রথমে অবশ্য এগিয়ে যায় বার্সেলোনাই। রাফিনহা শুরুতেই দলকে এগিয়ে নিলেও রোনাল্ড আরাউহোর এক লাল কার্ডেই শেষ হয়ে যায় কাতালান ক্লাবটির স্বপ্ন। এরপর প্রথমার্ধেই পিএসজির হয়ে ম্যাচে সমতা টানেন উসমান দেম্বেলে। দ্বিতীয়ার্ধে ভিতিনিয়া দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর জোড়া গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে।
ম্যাচের শুরুতেই বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন রাফিনহা। দ্বাদশ মিনিটে লামিনে ইয়ামালের কাট-ব্যাকে কাছ থেকে ভলিতে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। বার্সেলোনা যখন আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে, তখনি আরাউহোর লাল কার্ড। পিএসজির বারকোলাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন আরাউহো।
বার্সেলোনার একজন খেলোয়াড় কম থাকার সুযোগ নিয়ে একের পর এক আক্রমণ করে যেতে থাকে পিএসজি। তাতে ৪০তম মিনিটে বারকোলার বাড়ানো বলে দলকে সমতায় ফেরান দেম্বেলে। এই ধারা ধরে রেখে ৫৪তম মিনিটে বার্সেলোনার জালে বল পাঠান ভিতিনিয়া। দুই লেগ মিলিয়ে তখন ৪-৪ সমতা।
এরপর শুরু হয় এমবাপের গোলের মহড়া। ৬১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে স্কোরলাইন ৩-১ করেন ফরাসি তারকা। এরপর ৮৯তম মিনিটে এমবাপের শট বার্সেলোনা গোলকিপার ঠেকিয়ে দিলেও বল ক্লিয়ার করতে পারেননি বার্সেলোনার ডিফেন্ডাররা। কাছ থেকে শটে ম্যাচের শেষ গোল করেন এমবাপে।
সেমি-ফাইনালে পিএসজির প্রতিপক্ষ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। দিনের অন্য ম্যাচে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে তারা হারিয়েছে ৪-২ গোলের ব্যবধানে। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের জয়ে শেষ চারের টিকেট পেয়েছে জার্মান দলটি।