স্রেফ আনুষ্ঠানিকতাই বাকি ছিল। নয়তো আগে থেকে জানা ছিল, এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব রানার্সআপ হতে যাচ্ছে। সেটাও ১৩ বছর পর। সবশেষ ২০১১ সালে মোহামেডান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রানার্সআপ হয়েছিল। এরপর আর শিরোপার কাছাকাছিও যেতে পারেনি ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটি লিগ কিভাবে শেষ করে সেটাই ছিল দেখার। ভক্তদের হতাশ করেননি তারা। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৫৩ রানে হারিয়ে লিগের শেষ ম্যাচেও জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান। তাতে রানার্সআপ হওয়ার আনন্দটাও কিছুটা বেড়েছে। বিকেএসপিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান জমা করে। জবাবে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ১২৩ রানের বেশি করতে পারেনি। মোহামেডানের জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাটিংয়ে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ বলে ৪৪ রানের পর বোলিংয়ে ২৪ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন।
সব মিলিয়ে মোহামেডান রাউন্ড রবিন লিগে ১১ ম্যাচে ৮ জয়ের পর সুপার লিগে ৫ ম্যাচে ৪ জয় পেয়েছে। লিগে আবাহনীর পয়েন্ট ৩২। মোহামেডানের ২৪।
লিগের শেষ ম্যাচে মোহামেডানের ব্যাটিং তেমন ভালো হয়নি। রনি তালুকদার ৩৯ রানে থেমে যান। ভালো করেননি ইমরুল। ১১ বলে ৯ রান করেন মোহামেডানের অধিনায়ক। এছাড়া পুরো আসরে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন করেন ৬ রান। সব মিলিয়ে শীর্ষে থাকা মাহিদুলের রান ৬৪৭। ১৬ ইনিংসে ৪৬.২১ গড়ে রান করেছেণ ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। মিরাজ দলের হাল ধরলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ওয়াসি সিদ্দিকীর বলে আউট হন ৪৪ রানে। শেষ দিকে নাঈম হাসানের ২২ রানে মোহামেডান বলার মতো পুঁজি পায়।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে লেগ স্পিনার ওয়াসি সিদ্দিকী ৪২ রানে ৪ উইকেট নেন। ৩ উইকেট পেয়েছেন হাবিব মেহেদী।
লক্ষ্য তাড়ায় গাজী গ্রুপের ব্যাটিং ছিল একেবারেই হতশ্রী। আসা-যাওয়ার মিছিলে লেগে ছিল তাদের ব্যাটসম্যানরা। সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন আটে নামা মাসুম খান টুটুল। এছাড়া বিশের ঘর পেরিয়েছেন মেহেদী মারুফ (২৩) ও প্রীতম কুমার (২৩)।
মোহামেডানের হয়ে নাঈম হাসান ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন নাসুম আহমেদ, মিরাজ ও মুশফিক হাসান।