ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ মানেই পরতে পরতে রোমাঞ্চ। সেটা আরেকবার দেখালো স্লোভেনিয়া ও ইউক্রেন। শুরুতেই ইউক্রেনের জালে স্লোভেনিয়ার গোল। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকা ইউক্রেন পাল্টা হুমকি হয়ে উঠলো দ্বিতীয়ার্ধে। পরপর দুই গোলে বাজিমাত করে ২-১ গোলের দুর্দান্ত জয়ে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নিলো সের্হি রেব্রভের দল।
আজ শুক্রবার (২১ জুন) জার্মানির ডুসেলডর্ফে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ইউক্রেন। তবে ম্যাচের প্রথম আক্রমণ শাণায় স্লোভেনিয়া। দশম মিনিটে লুকাস হারাসলিনের বাম পায়ের শট বক্সের উপর দিয়ে উড়ে যায়। এরপর দুই দল আরও দুটি করে আক্রমণ শাণালেও গোলের দেখা পায়নি।
স্লোভেনিয়া এগিয়ে যায় ম্যাচের সপ্তদশ মিনিটে। বাম কর্নার থেকে হারাসলিনের উড়ে আসা ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দলকে উল্লাসে ভাসান ইভান শ্রানজ। এক গোলের লিড নেওয়ার পর রক্ষণ আগলে খেলতে থাকে স্লোভেনিয়া। তাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ইউক্রেন। ফলে এক গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় স্লোভেনিয়া।
বিরতির পর নেমেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ শাণাতে থাকে ইউক্রেন। ফলও পায় হাতেনাতে। ৫৪তম মিনিটে মাঠের বাম প্রান্ত দিয়ে স্লোভেনিয়ার বক্সে ঢুকে পড়েন আলেক্সান্ডার জিনচেনকো। তিনি বল বাড়ান মাইকোলা শাপারেঙ্কাকে। বাম পায়ের দুর্দান্ত শটে জাল খুঁজে নেন এই মিডফিল্ডার।
গোল পেয়ে যেন উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ইউক্রেন। একের পর এক আক্রমণ শাণাতে থাকে তারা। বিপরীতে রক্ষণ আগলে খেললেও সুযোগ বুঝে পাল্টা আক্রমণ করে স্লোভেনিয়া। দুই দলের লড়াই তখন তুঙ্গে। সময় যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই বাড়ছিল উত্তেজনা। এই ফাঁকেই ৮০তম মিনিটে বাজিমাত করে দেয় ইউক্রেন।
মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়ে ছয় গজ বক্সে বাড়ান শাপারেঙ্কো। তার থ্রু বল ধরে বক্সের ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে আচমকা শটে জাল খুঁজে নেন রোমান ইয়ারেমচুক। এই গোলেই শেষমেশ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইউক্রেন।
এই জয়ে ২ ম্যাচে সমান ১টি করে জয়-পরাজয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপে দুইয়ে অবস্থান করেছে ইউক্রেন। এক ম্যাচ কম খেলে তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করেছেন রোমানিয়া। আর ২ ম্যাচে ১ জয় নিয়ে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে তিনে অবস্থান করেছেন স্লোভেনিয়া।