খেলাধুলা

ডি কক-মিলারের ব্যাটে প্রোটিয়াদের লড়াকু সংগ্রহ

সুপার এইটের এই ম্যাচ দুই দলের জন্যেই সেমিফাইনালের পথ সুগম করার মঞ্চ। তাতে প্রথমে ব্যাট করে কুইন্টন ডি ককের ঝড়ো ফিফটি ও ডেভিড মিলারের সময়োপযোগী ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।  

শুক্রবার (২১ জুন) সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি জাতীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ধীরগতির করেন রিজা হেনড্রিকস। প্রথম ওভারে আসে মাত্র ২ রান। পরের ওভারেই চড়াও হন কুইন্টন ডি কক। মঈন আলীর ওভারে একটি করে চার-ছক্কায় তুলে নেন ১২ রান। এরপর ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন ডি কক।

পাওয়ারপ্লে’র ৬ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৬৩। যার মধ্যে ডি ককের একাই ৪৯। পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই ফিফটি তুলে নেন ডি কক। ২২ বলে ৩টি চার ও ৪ ছক্কার মারে চলতি আসরের দ্রুততম ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি। একপ্রান্তে ব্যাট হাতে ঝড় তুলছিলেন ডি কক, অন্যপ্রান্তে ঢিমেতালে খেলছিলেন হেনড্রিকস। দশম ওভারের পঞ্চম বলে শেষ হয় তার ২৫ বলে ১৯ রানের ইনিংস। 

হেনড্রিকসের বিদায়ে ক্রিজে আসেন হেনরিখ ক্লাসেন। তবে তার সঙ্গে জুটি বাঁধার আগেই ফিরে যেতে হয় ডি কককে। জোফরা আর্চারের বল ডি ককের ব্যাট চুমো খেয়ে বল বেরিয়ে যাচ্ছিলো, বাজপাখির মতো উড়ে এক হাত দিয়ে সেটা গ্লাভসে বন্দি করেন বাটলার। প্রোটিয়া ওপেনার ফেরেন ৩৮ বলে ৬৫ রান করে। তার ইনিংসে ছিলো সমান চারটি করে চার ও ছক্কা।

ডি ককের আউটে ঝিমিয়ে পরে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে ইংল্যান্ডের হাতে। তাতে ১৩ বলে ৯ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ক্লাসেনও। এরপর ডেভিড মিলার ও এইডেন মার্করাম জুটি বাঁধতে চাইলে বাধা হয়ে দাঁড়ান আদিল রশিদ। রশিদের ঝুলিয়ে দেওয়া বলটা অফসাইডে খেলতে গিয়ে লেগ স্টাম্প হারান মার্করাম। ২ বলে করেন ১ রান।

দল নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও চড়াও হতে চেষ্টা করেন মিলার। তার সঙ্গে জুটি বাঁধেন ত্রিস্টান স্টাবস। মার্ক উডের এক ওভারেই দুজন মিলে হাঁকান তিন চার। বাকি পথটাও এ দুজন মিলে উইকেট আগলে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন। দলকে দেড়শ রানের ঘর পার করেন।

মিলার ধরা খান শেষ ওভারের প্রথম বলে। আর্চারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে হ্যারি ব্রুকের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন। সাজঘরে ফেরার আগে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৮ বলে ৪৩ রান করেন মিলার। মিলারের বিদায়ের পরের বলেই আকাশে বল তুলে শূন্য রানে বিদায় নেন মার্কো জানসেন। সেখানেই শেষ প্রোটিয়াদের বড় সংগ্রহের আশা।