ভারতীয় ক্রিকেটে কিংবদন্তিদের কাতারে একেবারে সামনের দিকেই থাকবেন রাহুল দ্রাবিড়। তবে সাফল্যের দিকে তাকালে হতাশাই কেবল দেখা যায়। খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেও একটি শিরোপার আক্ষেপ থেকে গেছে দ্রাবিড়ের। সেই আক্ষেপ ঘোচালেন কোচ হয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে ভারতকে শিরোপা জিতিয়ে।
শনিবার (২৯ জুন) বার্বাডোজের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা নিজেদের করে নেয় ভারত। সেই সঙ্গে কোচ হিসেবেও খেলোয়াড়ি জীবনের আক্ষেপে চিরস্থায়ী প্রলেপ টেনে দিলেন দ্রাবিড়। ম্যাচ শেষে তার কণ্ঠে সেই উচ্ছ্বাসই টের পাওয়া গেল।
শিরোপা জয়ের পর দ্রাবিড় বলেন, ‘দুই বছরের সাধনার ফল এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই দল গঠনের সময় আমরা এই দক্ষতাই চেয়েছিলাম, এই খেলোয়াড়দেরই চেয়েছিলাম। ২০২১ সালে কাজ শুরু হওয়ার পরই এই আসরকে লক্ষ্য ধরে আলোচনা শুরু হয়েছিল।’
‘একজন খেলোয়াড় হিসাবে আমি শিরোপা জয়ের জন্য ভাগ্যবান ছিলাম না। কিন্তু আমি আমার সেরাটা দিয়েছি। আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান যে ভারতের মতো একটি দলের কোচ হওয়ার সুযোগ পেয়েছি, এই ছেলেদের নিয়ে সাফল্যের দেখা পেয়েছি। এটি একটি দুর্দান্ত অনুভূতি।’- আরও যোগ করেন দ্রাবিড়।
দ্রাবিড়ের অধীনে ভারত গত বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সহ টানা তিনটি আইসিসি ফাইনাল খেলেছে। তবে প্রতিবারই অস্ট্রেলিয়ার কাছে শিরোপা খোয়াতে হয়েছে। সেই আক্ষেপ পেছনে ফেলে একটা দলকে আবারও শিরোপার মঞ্চে নিয়ে আসা এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়া স্বপ্নের মতোই ব্যাপার।
দ্রাবিড় মনে করেন সামনের সময়টাতেও ভারত ক্রিকেটে এই আধিপত্য বজায় রাখবে এবং আরও শিরোপা জিতবে, ‘এখনের ভারতীয় দলে অসাধারণ সব প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে। তাদের শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস অন্য মাত্রার। আগামী ৫-৬ বছরে ভারত অনেক ট্রফি জিতবে।’
ফাইনালের মধ্যে দিয়েই ভারতীয় ক্রিকেটে অবসান হলো দ্রাবিড় অধ্যায়। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পরই ভারতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে দ্রাবিড়ের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। তবে তাকে বুঝিয়ে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত হেড কোচ থাকতে রাজি করিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্তারা। অবশেষে এই আসর দিয়েই শেষ হলো সেই অধ্যায়।