ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বয়স ৪০ ছুঁই ছুঁই। এখনও মাঠ দাপিয়ে ৯০ মিনিট তো বটেই, খেলেন ১২০ মিনিটও। যার পায়ে গোলের রেকর্ডরা সব গড়াগড়ি খায় সেই রোনালদো কিনা এবারের ইউরোতে গোলই পেলেন না!
শেষ ষোলোর ম্যাচে স্লোভানিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পেনাল্টি মিস করেন পর্তুগালের সুপারস্টার। এরপর কেঁদে বুক ভাসান। কেউ-ই শান্ত্বনা দিয়ে শান্ত করতে পারছিলেন না তাকে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল পর্তুগাল।
কিন্তু শুক্রবার (০৫ জুলাই, ২০২৪) দিবাগত রাতে সেই টাইব্রেকারে ফ্রান্সের কাছে ৫-৩ ব্যবধানে হেরে ইউরোর এবারের আসর থেকে বিদায় নিলো পর্তুগাল এবং রোনালদো।
না, এবার আর কাঁদলেন না রোনালদো। তবে তাকে জড়িয়ে ধরে এবার কাঁদলেন সতীর্থরা। বিশেষ করে পেপে। ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশমও এসে জড়িয়ে ধরলেন রোনালদোকে। কিন্তু রোনালদো আর কাঁদলেন না। জোয়াল জোড়া শক্ত করে মন খারাপের নীরব কবিতা লিখে চলছিলেন টানেল দিয়ে ড্রেসিংরুমের পথে।
৩৯ বছর বয়সী রোনালদো খেলে গেলেন রেকর্ড ষষ্ঠ ইউরোর আসর। তাও কোনো গোল করা ছাড়াই। যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম গোলহীন থাকার ঘটনা। পর্তুগালের হয়ে টানা ২০ বছর খেলেছেন তিনি। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ইউরোতে আগের পাঁচ আসরে সর্বোচ্চ ৩০ ম্যাচ খেলে করেছেন সর্বোচ্চ ১৪ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ৮টা। সর্বোচ্চ জয় পেয়েছেন, জিতেছেন ইউরোর শিরোপাও।
এক জীবনে হয়তো অনেক কিছু চাওয়ার থাকতে পারে। কিন্তু রোনালদোর পাওয়ার ঝুলিও তো প্রায় পূর্ণ। একমাত্র বিশ্বকাপটা জেতা হয়নি তার। এবার ইউরো জেতার লক্ষ্য নিয়ে এসেও কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ফিরতে হলো তাকে। এই ফেরাই হয়তো শেষ, আর হয়তো দেখা যাবে না ইউরোর মঞ্চে সিআরসেভেনকে। ফুটবলপ্রেমীদের চোখ জোড়া নিশ্চয়ই খুঁজে ফিরবে একজন রোনালদোকে। একজন সুপারস্টারকে।