খেলাধুলা

‘নারী না পুরুষ’ বিতর্ক পেছনে ফেলে সোনা জয় খেলিফের

প্যারিস অলিম্পিকে মেয়েদের বক্সিংয়ের শুরুতেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। যার কেন্দ্রে ছিলেন আলজেরিয়ান বক্সার ইমানে খেলিফ। তবে সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে প্যারিসে সোনা উচিয়ে ধরেছেন এই বক্সার। মেয়েদের বক্সিংয়ে ৬৬ কেজির ফাইনালে তিনি হারিয়েছেন চীনের ইয়াং লিউকে।

প্যারিসে বক্সিং রিংয়ে নামার পরপরই খেলিফের ক্রোমোজম নিয় প্রশ্ন ওঠে। নিজের প্রথম ম্যাচে খেলিফ জয় তুলে নেন মাত্র ৪৬ সেকেন্ডে। তার শক্তিশালী পাঞ্চে টিকতে না পেরে হাল ছেড়ে দেন ইতালির অ্যাঞ্জেলা কারিনি। এরপরই খেলিফের ক্রোমোজম পুরুষ দাবি করে আলোচনার শুরু হয়।

সব আলোচনা-সমালোচনা পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যান খেলিফ। কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি পরাজিত করেন হাঙ্গেরির লুকা আন্না হামোরিওকে। এই ম্যাচে অনায়াসে জিতেন খেলিফ। ফলে বিতর্ক আরও প্রকট আকার ধারণ করে। তবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে (আইওসি) পাশে পান খেলিফ।

আইওসি সাফ জানিয়ে দেয়, খেলিফের অলিম্পিকে থাকতে কোনো বাধা নেই। কারণ, সব ধরনের নিয়ম মেনেই অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন এই আলজেরিয়ান। ফলে খেলা চালিয়ে যেতে আর কোনো বাধা ছিল না তার। সুযোগ পেয়ে ফাইনালে পৌছে যান এই বক্সার।

ফাইনালের লরাই জমজমাট হওয়ার কথা ছিল। কেননা ইয়াং বর্তমান মেয়েদের বক্সিংয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু খেলিফের সামনে টিকতেই পারলেন না এই চীনা অ্যাথলেট। প্রথম রাউন্ড থেকে দাপট দেখিয়ে মোমেন্টাম ধরে রেখে ৫-০ ব্যবধানে জিতেন খেলিফ। 

দেশকে সোনা এনে দিয়ে খেলিফ বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। আট বছর ধরে আমি এই স্বপ্ন দেখে আসছিলাম এবং এই মুহূর্তে আমি অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। একজন সোনাজয়ী। আমি আট বছর ধরে অনেক কষ্ট করেছি। তার ফল হিসেবে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হলাম।’

খেলিফকে নিয়ে বিতর্কের শুরু হয় গেল বছর। ক্রোমোজোম পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বাদ পড়েন খেলিফ। অলিম্পিকেও খেলিফের অংশগ্রহণে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে আন্তর্জাতিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ)। তবে আইওসি তাঁর পাশে দাঁড়ায়।