এর আগেও টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং র্যাংকিংয়ে দুইবার ১৭তম স্থানে এসেছেন মুশফিকুর রহিম। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে আবারও পুরোনো জায়গায় ফিরে এসেছেন তিনি। সাত ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭তম স্থানে মুশফিক। তবে এবার ক্যারিয়ারের সেরা রেটিং পয়েন্ট পেয়েছেন। ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের রেটিং পয়েন্ট ৬৮৪।
এর আগে ২০২২ সালের ২৭ মে প্রথমবার ক্যারিয়ার সেরা ১৭তম র্যাংকিংয়ে পৌঁছেছিলেন মুশফিক। সেবার তার রেটিং পয়েন্ট ছিল ৬৭৫। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৭৫ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রান করে ভালো অবস্থানে গিয়েছিলেন।
সবশেষ র্যাংকিংয়ে ১৭তম স্থানে ছিলেন ২০২৩ সালের এপ্রিলে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৬ এবং ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডবল। সেবার রেটিং পয়েন্ট হয়েছিল ৬৭৪। রাওয়ালপিণ্ডিতে দলের ঐতিহাসিক জয়ে মুশফিক পুরোনো স্থানে ফিরলেও রেটিং পয়েন্টের উন্নতি হয়েছে বেশ।
এদিকে বোলারদের মধ্যে বিরাট লাফ দিয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ। ২৩ ধাপ উন্নতি হয়েছে হাসানের। ম্যাচে নতুন বলে দারুণ বোলিং করার পুরস্কার পেলেন হাসান। ৩১০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তার অবস্থান ৭৪। আরেক পেসার শরিফুল ইসলামের উন্নতি হয়েছে নয় ধাপ। ৩৩৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তার অবস্থান ৬৪। মেহেদী হাসান মিরাজ রাওয়ালপিণ্ডিতে ৫ উইকেট পেয়েছেন। একধাপ উন্নতি হয়েছে তার। সাকিব বোলিং র্যাংকিংয়ে আছেন ২৮তম স্থানে। স্কোয়াডে থাকলেও প্রথম টেস্ট খেলা হয়নি তাইজুল ইসলামের। তার তিন ধাপ অবনমন হয়েছে। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুইধাপ উন্নতি হয়েছে লিটনের। ২৭তম স্থানে আছেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। প্রতি আক্রমণে গিয়ে রাওয়ালপিণ্ডিতে দুর্দান্ত ফিফটি পান লিটন। ব্যাটিংয়ে সাকিবের দুই ধাপ অবনমন হয়েছে। তার বর্তমান র্যাংকিং ৪৩। দুই ধাপ পিছিয়ে মুমিনুলের অবস্থান ৪৬। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর এক ধাপ অবনবমন হয়ে অবস্থান ৬৩।