খেলাধুলা

প্রথমবার দ. আফ্রিকাকে হারিয়ে আফগানিস্তানের ইতিহাস

এর আগে পাঁচবার সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তান। প্রোটিয়াদের হারানো তো দূরের কথা কখনো অলআউটই করতে পারেনি তারা।

আজ বুধবার রাতে নিরপেক্ষ ভেন্যু শারজাহতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩.৩ ওভারে মাত্র ১০৬ রানে প্রথমবার অলআউট করে। এরপর মামুলি টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৬০ রানে ৪ উইকেট হারায়।

সেখান থেকে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও গুলবাদিন নায়েবের অবিচ্ছিন্ন ৪৭ রানের জুটিতে ভর করে ২৬ ওভারে ১০৭ রান করে ১৪৪ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে ঐতিহাসিক জয় নিশ্চিত করে। যা দ. আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তানের প্রথম জয়। বল হাতে রাখার দিক দিয়ে এটা ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় জয়।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই মারকুটে ব্যাটসম্যান রহমানুল্লাহ গুরবাজের উইকেট হারায় আফগানরা। ৩ বল খেলে শূন্যরানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১৫ রানের মাথায় নতুন ব্যাটসম্যান রহমত শাহ ব্যক্তিগত ৮ রানে ফেরেন সাজঘরে। ৩৮ রানে যেতে আরও একটি উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এবার আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রিয়াজ হাসান ২ চারে ১৬ রান করে আউট হন।

সেখান থেকে হাশমতউল্লাহ শাহিদি ও আজমতউল্লাহ ৬০ রান পর্যন্ত নিয়ে যান দলীয় সংগ্রহ। এই রানের মাথায় অধিনায়ক হাশমতউল্লাহও আউট হন। ১ চারে ১৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। সেখান থেকে আজমতউল্লাহ ও গুলবাদিন ৪৮ বলে অপরাজিত ৪৭ রান তুলে ২৬ ওভারেই জয় নিশ্চিত করেন। আজমতউল্লাহ ২ ছক্কায় ২৫ ও গুলবাদিন ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিজর্ন ৯ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি ও এইডেন মার্করাম।

তার আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের পেস ও স্পিন বোলিং তোপে ৩৩.৩ ওভারে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয় মার্করাম বাহিনী।

ফজল হক ফারুকি ৭ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৩৫ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফার ১০ ওভারে ২ মেডেনসহ মাত্র ২০ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। এর আগে আফগানিস্তানের হয়ে দুই ম্যাচ খেলে কোনো উইকেট পাননি তিনি। রশিদ খান ৮.৩ ওভারে ২ মেডেনসহ ৩০ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

আফগানিস্তানের বোলিং তোপে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের মাত্র চারজন দুই অঙ্কের কোটায় রান করেন। তার মধ্যে উইয়ান মুল্ডার ৮৪ বলে ৫টি চার ও  ১ ছক্কায় করেন সর্বোচ্চ ৫২ রান। তিনি শেষ দিকে বিজর্ন ফরচুইন ও নান্দ্রে বার্গারকে নিয়ে দুটি ৩০ উর্ধ্ব রানের জুটি গড়েন। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১০০ পেরোয়। নতুবা তারা এক’শ রানেই আগেই অলআউট হতে পারতো।

মুল্ডার ছাড়া বিজর্ন ২ চারে ১৬, টনি ডি জর্জি ১ চারে ১১ ও কাইল ভেরেনি ২ চারে করেন ১০ রান।