খেলাধুলা

ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে শিখছে বাংলাদেশ

ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪০ রানে নেই ৫ উইকেট। এরপর জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান-লিটন দাস। দুজনে এগোচ্ছেন। গড়েছেন ফিফটির জুটি। এরপরই যেন ভাঙল ধৈর্যের বাধ। সুইপ করতে গিয়ে আউট লিটন দাস (২৭)। তাকে দেখেও যেন শিক্ষা হয়নি অপর প্রান্তের ব্যাটার সাকিব আল হাসানের। তিনিও অপ্রয়োজনীয়, অহেতুক সুইপ করতে গিয়ে আউট (৩২)। 

শুরুর ধসের পর দুজনের ব্যাটে দেখা যাচ্ছিল প্রতিরোধের আভাস। কিন্তু স্বপ্ন দেখার শুরুতেই যেন শেষ। থিতু হওয়া দুই ব্যাটার ফেরার পর বাংলাদেশ অলআউট হয় মাত্র দেড়’শ রানে! পিছিয়ে থাকে ২২৭ রানে। প্রথম ইনিংসের সেই ধাক্কা আর সামাল দেওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত চতুর্থ দিন প্রথম সেশন শেষের আগেই বাংলাদেশ হারে ২৮০ রানে! 

সাকিব-লিটনের মত এমন ভুল দেখা গেছে দ্বিতীয় ইনিংসেও। কিন্তু ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলছেন ব্যাটিং ব্যর্থতা শিক্ষার কথা, ‘প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং আমাদের জন্য শিক্ষার। টপ-অর্ডারে আরও সচেতন থাকতে হবে। ওপরের দিকে আরও কিছু রান করতে হবে আমাদের। এই শিক্ষার কথা আমি বলতে পারি। সামনের কথা বললে, প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান মনে করে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব। দেখা যাক।’

দুই ইনিংস মিলিয়ে ভারতের তিন ব্যাট পেয়েছেন সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের একমাত্র ফিফটি আসে শান্তর ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান সাকিবের। দুই ইনিংসে ব্যাটিং করতে পেরেছে মাত্র ১১০ ওভারের মতো। এসব কিছুই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের পার্থক্য। কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টে এমন ভুল দ্বিতীয়বার করতে চাইবে না বাংলাদেশ।

‘উইকেটে সময় কাটানো যে জরুরি, এই ব্যাপারে আমি খুবই নিশ্চিত ছিলাম। তবে এটি যথেষ্ট ছিল না। হয়তো দ্বিতীয় ম্যাচে এটি সাহায্য করবে। আমাদের ওপেনাররা ৬২ রানের জুটি গড়েছে। এটি হয়তো দ্বিতীয় ম্যাচে নিয়ে যেতে পারি আমরা’ —বলেছেন শান্ত। 

শান্ত প্রশংসা করেছেন ভারতীয় বোলিং লাইনআপের। সঙ্গে জানিয়েছেন নিজেদের শক্তি-সামর্থ্যের উপর আস্থা রাখার কথা,  ‘বোলিংয়ে তাদের স্পিন ও পেস বিভাগ খুবই উঁচু মানের। তবে আমরা তাদের শক্তি নিয়ে বেশি ভাবতে পারি না। আমাদের নিজের শক্তিমত্তার ওপর আস্থা রাখতে হবে এবং কীভাবে দলের জন্য অবদান রাখতে পারি তা ভাবতে হবে। আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। আশা করি, তারা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াবে।’

কানপুরের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে। সিরিজে সমতা আনতে হলে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। তবে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের যে পারফরম্যান্স তাতে, ড্র-ই হতে পারে অনেক বড় কিছু।