::: সংক্ষিপ্ত স্কোর ::: দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫২৭/৬ (১৩৫ ওভার)
মুল্ডারের ফিফটি চট্টগ্রামেও ব্যাট হাতে আলো ছড়াচ্ছেন মুল্ডার। মিরপুরে একমাত্র ইনিংসে ৫৪ রান করা মুল্ডার চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসেও পেয়েছেন ফিফটি। সেই সাথে মুতুসামির সঙ্গেও সপ্তম উইকেটে গড়েছেন পঞ্চাশ ছড়ানো জুটি।
প্রথম শিকার নাহিদ রানার প্রথম সেশনে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট পড়েছিল পাঁচটি। সবকটি নিয়েছিলেন নাহিদ রানা। দ্বিতীয় সেশনে এসেই প্রথম উইকেট পেলেন পেসাররা। লাঞ্চের পর সাফল্যের দেখা পেলেন নাহিদ রানা। তিনি ফেরালেন রায়ান রিকেলটনকে।
নাহিদের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি পিচ করে অ্যাঙ্গেলে বেরিয়ে যায়। বলে খোঁচা দিয়ে কিপারের হাতে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে জায়গায় দাঁড়িয়ে চালিয়ে দেন বাঁহাতি রিকেলটন। ব্যাটের কানা ছুঁয়ের বল যায় কিপারের গ্লাভসে। ১২ রানে ফেরেন রিকেলটন। দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৬ উইকেটে ৪২৩।
নতুন ব্যাটসম্যান দলে ফেরা সেনুরান মুথুসামি।
দক্ষিণ আফ্রিকার চারশ দ্রুত তিন উইকেট হারালেও চারশ রানের ঘর পার করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রায়ান রিকেলটন ও ভিয়ান মুল্ডারের ব্যাটে চারশ পার করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে প্রোটিয়ারা। মেহেদী হাসান মিরাজকে ছক্কা ও চার মেরে দলকে চারশ পার করেন রিকেলটন।
প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ২৯ ওভার। রান হয়েছে ১০৬। বাংলাদেশ উইকেট নিয়েছে ৩টি। দক্ষিণ আফ্রিকা ওভারপ্রতি রান তুলেছে ৩.৬৬ করে। সব মিলিয়ে প্রথম সেশনটা দুই দলেরই।
তাইজুলের ৫ উইকেট দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে অর্ধেক উইকেট পতন হয়েছে। সবগুলো উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। কাইল ভেরেইনাকে বিদায় করে তুলে নিয়েছেন ফাইফার।
৩৮৬ রান তুলতে দক্ষিণ আফ্রিকা উইকেট হারিয়েছিল ২ টি। সেখান থেকে স্কোরবোর্ডে আর ৫ রান তুলতে প্রোটিয়ারা ৩ উইকেট হারিয়েছে। এই ৩ উইকেট নিয়ে পাঁচ উইকেট হলো তাইজুলের। সিরিজের প্রথম টেস্টে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন এই স্পিনার।
আবারও তাইজুল ব্যাক টু ব্যাক উইকেট তুলে নিলেন তাইজুল ইসলাম। বেডিংহ্যামকে বিদায়ের পরের ওভারে এসেই তুলে নিলেন বাংলাদেশের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা জর্জিকে। ১৭৭ রানেই শেষ হয়েছে তার ইনিংস।
সুইপ করতে গিয়েই আউট হলেন জর্জি। তাইজুলের করা মিডল–লেগ স্টাম্প বরাবর করা বলটি প্যাডে লাগে এই ওপেনারের। আম্পায়ারও আবেদনে সাড়া দেন। ডি জর্জি রিভিউ নিয়েছিলেন। কাজে লাগেনি।
তাইজুলেই ভরসা বাংলাদেশের দলের অবস্থা দেখে মনে হবে, তাইজুল বাদে আর কোনো বোলার নাই বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে তিন উইকেটের সবকটি নিয়েছেন তাইজুল। এবার তার শিকার বেডিংহ্যাম।
তাইজুলের প্রথম বলটিতে ছক্কা হাঁকালেন বেডিংহ্যাম। পরের বলেও ছক্কা মারতে চাইলেন। তবে এবার আর হয়নি। জোরের ওপর করা তাইজুলের বলটি মিস করেছেন বেডিংহাম, হয়েছেন বোল্ড।
৫৯ রান করে আউট হয়েছেন বেডিংহাম।
বেডিংহ্যামের ফিফটি পিচের দোষ নাকি বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ পানসে, এই প্রশ্ন উঠতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার যিনিই ব্যাট হাতে নামছেন, ফিফটি স্পর্শ করে ফেলছেন। এবার ফিফটি পেলেন বেডিংহ্যাম।
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৭০ বলে ফিফটি স্পর্শ করলেন ডেভিড বেডিংহ্যাম। অষ্টম টেস্ট খেলতে নামা ব্যাটসম্যানের তৃতীয় ফিফটি এটি। সেঞ্চুরি আছে একটি।
জর্জির দেড়শ বাংলাদেশের বোলারদের কোনো সুযোগই দিচ্ছেন না জর্জি। সাবলীল খেলে এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছেন দেড়শ রানের ঘর। ছুটছেন দুইশর দিকে। তাইজুলের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে বল সীমানা ছাড়া করে দেড়শ ছুঁয়েছেন এই ওপেনার।
১১ চার ও ২ ছক্কায় ২৩৫ বলে দেড়শ হলো তার। পরের বলে বাউন্ডারি মারেন তিনি আরেকটি
জুটির ফিফটি সকালে আঁটসাঁট বোলিং করে বাংলাদেশ। তবে কোনো উইকেট আসেনি। এরই মধ্যে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়ে ফেলছেন ডেভিড বেডিংহ্যাম ও টনি ডি জর্জি। জুটিতে ডি জর্জির রান ২৩, বেডিংহ্যামের ২৮।
সকালেই আম্পায়ারের ভুল দিনের দ্বিতীয় ওভারে হাসান মাহমুদের হালকা ভেতরে ঢোকা বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি ডেভিড বেডিংহ্যাম। বল লাগে তার প্যাডে। বাংলাদেশের জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার জোয়েল উইলসন। তবে ব্যাটসম্যান রিভিউ নেন সঙ্গে সঙ্গেই।
রিভিউয়ে দেখা যায়, প্যাডে লাগার আগে ব্যাট বেশ ভালেভাবেই লাগে ব্যাটে। বেশ শব্দও হয় ব্যাটে লাগার। ব্যাটে লাগার ব্যাপার এতটাই স্পষ্ট ছিল যে, তৃতীয় আম্পায়ার এমনকি আল্ট্রা-এজ দেখার প্রয়োজনও মনে করেননি।
বাংলাদেশের লক্ষ্য কী? চট্টগ্রাম টেস্টে চালকের আসনে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দিনে ৮১ ওভার খেলে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেঞ্চুরি পেয়েছেন ডি জর্জি ও স্টাবস। আজ তারা চাইবে এই সংগ্রহ বাড়িয়ে নিয়ে রান পাহাড়ের চূড়াউ উঠতে।
তাহলে বাংলাদেশের লক্ষ্য কী? দ্বিতীয় দিনের সকালটা হতে হবে বাংলাদেশের। নতুন বলে জ্বলে উঠতে হবে দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানাকে। বলটা নতুন কারণ, গতকাল এই বলে খেলা হয়েছে মাত্র ১ ওভার। দেখা যাক, নতুন বলের সুবিধা বোলাররা নিতে পারেন কি না!