কক্সবাজারের একাডেমি মাঠে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন আগের দিনেই। রোববার সেটিকে ডাবলে রূপ দিলেন। চলমান জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি আসলো সিলেট বিভাগের অধিনায়ক অমিত হাসানের ব্যাটে। তার ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল ছোঁয়ার দিনে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন সতীর্থ আসাদুল্লাহ গালিব।
অমিত থামেন ২১৩ রানে। গালিবের ব্যাট থেকে আসে ১১৫ রান। দুজনের ম্যারাথন ইনিংসে ভর করে সিলেট ৭ উইকেটে ৪৯৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাব দিতে নেমে খুলনা বিনা উইকেটে ৩ রানে দিন শেষ করে। অমিত ১৮ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫৫ বলে ২১৩ রানের ইনিংসটি সাজান। এর আগে তার ক্যারিয়ার সেরা রান ছিল ১৮৬। এবার ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগটি হাতছাড়া করেননি। তাকে সঙ্গ দিয়ে গালিব দ্যুতি ছড়িয়ে ২৪২ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৫ রান করেন। খুলনার সেরা বোলার হয়েছেন ৪ উইকেট নেওয়া মাহেদী।
কক্সবাজারের মূল মাঠে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন চট্টগ্রাম বিভাগের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী রাব্বী। ১০৬ বলে ৮১ রান তুলে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন তিনি। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ইয়াসির ইনিংসটি সাজান। তার সঙ্গে ৬৪ রানে অপরাজিত আছেন শাহাদাত হোসেন। তাদের দুজনের ফিফটিতে চট্টগ্রাম ৩ উইকেটে ২০২ রান করেছে। এর আগে বরিশালের প্রথম ইনিংস থামে ৩১৮ রানে।
রাজশাহীতে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ম্যাচে উত্তাপ ছড়িয়েছে। দুই দলই প্রথম ইনিংসে করেছে ১৮৯ রান। রাজশাহীর হয়ে দ্বিতীয় দিন ওয়াসি সিদ্দিকী সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন। রংপুরের হয়ে বল হাতে ৩ উইকেট নেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে রংপুর ৪ উইকেটে ৮৩ রানে দিন শেষ করেছে। ওপেনিংয়ে মিম মোসাদ্দেক ৩৩ ও রিজওয়ান ৩২ রান করেন। এরপর হঠ্যাৎ ছন্দপতনে দিনের শেষ দিকে দ্রুত ৪ উইকেট হারায় রংপুর। পেসার মোহর শেখ পেয়েছেন ২ উইকেট।
সিলেটে ঢাকা মেট্রোর করা ৩০৪ রানের জবাব ভালোভাবেই দিচ্ছে ঢাকা বিভাগ। ৬ উইকেটে ২৫৪ রান তুলেছে তারা। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ৫০ রানে পিছিয়ে। শুভাগত হোম ৬০ রানে অপরাজিত আছেন। নাজমুল অপুর সংগ্রহ ২১ রান। এর আগে রনি তালুকদার ৫৪ ও তাইবুর রহমান ৩৯ রান করেন।