দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় এক মেয়র প্রার্থী ও ৪০ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ করেছে বিএনপি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
শোকজ পাওয়া নেতাদের মধ্যে মেয়র পদে একজন, সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৪ জন রয়েছেন।
শনিবার (৩ জুন) বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী পৃথকভাবে এ শোকজ নোটিশ ইস্যু করেন।
মেয়র পদে শোকজ পাওয়া প্রার্থী হলেন সালাউদ্দিন রিমন।
শোকজ পাওয়া সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন- সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, নজরুল ইসলাম মুনিম, এ.বি.এম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল, অ্যাডভোকেট রোকশানা বেগম শাহনাজ, আলতাফ হোসেন সুমন, উসমান হারুন পনির, গোলাম মোস্তফা কামাল, গউছ উদ্দিন পাখী, দেলওয়ার হোসেন নাদিম, মুফতি কমর উদ্দিন কামু, মিজানুর রহমান মিঠু, মো. কামাল মিয়া, খালেদ আকবর চৌধুরী, আমিনুর রহমান খোকন, শাহেদ সিরাজ, মো. সাইদুর রহমান জুবের, আব্দুর রহিম মতছির, মো. মুজিবুর রহমান, সালমান চৌধুরী শাম্মী, মামুনুর রহমান মামুন, বদরুল আজাদ রানা, হুমায়ূন কবির সুহিন, সেলিম আহমদ রনি, আলী আব্বাস, জাবেদ আমিন সেলিম, রাজু মিয়া, সানর মিয়া, মো. আব্দুল মুকিত, অ্যাডভোকেট হেদায়াত হোসেন তানভীর, দুলাল আহমদ, দিলওয়ার হোসেন জয়, আব্দুল হাছিব, সুমন আহমদ সিকদার, শাহেদ খান স্বপন।
সংরক্ষিত ওয়ার্ডে শোকজ করা কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন- সালেহা কবির শেপী, রুহেনা বেগম মুক্তা, অ্যাডভোকেট জহুরা জেসমিন, কামরুন নাহার।
রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে বলা হয়, বিগত ১৫ বছর ধরে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ দেশের জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়া প্রায় পাঁচ বছর ধরে কারাভোগ করছেন। বর্তমান সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন এবং প্রায় পঞ্চাশ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে। ইতোমধ্যে অনেক নেতাকর্মীকে গুম করে রাখা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অথচ দলের একজন সদস্য হয়ে প্রার্থীরা ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে এই সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছেন। ফলে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার কারণ দর্শিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে শোকজের সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে দল নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।