মেসির ছোঁয়ায় বদলে গেছে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল ইন্টার মায়ামি। মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে, দুই জায়গায়ই ডেভিড বেকহামের দলটাকে একেবারে বদলে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা। এবার বিশ্বকাপজয়ী তারকার ছোঁয়ায় আরেকটি শিরোপার সামনে দাঁড়িয়ে ‘দ্য হেরনস’রা।
ইউএস ওপেন কাপের সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের লিগের সেরা দল সিনসিনাটির মুখোমুখি হয়েছিল মায়ামি। এই ম্যাচে মেসিকে মার্ক করবেন না বলে ম্যাচের আগে জানিয়েছেন সিনসিনাটি কোচ। তবে ম্যাচে পুরোটা সময় তাকে মার্ক করে রেখেছিল প্রতিপক্ষ। কিন্তু লাভ হয়নি।
প্রতিপক্ষের কড়া মার্কিংয়ের মধ্যেই যে সুযোগটুকু পেলেন, তাতেই যা করার করে ফেললেন মেসি। একদম মাস্টারস্ট্রোক যাকে বলে। দুই অ্যাসিস্টে দলকে ম্যাচে তো ফেরালেনই, ফাইনালের মঞ্চেও তুলে দিলেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা।
তখন যোগ করা সময়ের খেলা চলছে। ২–১ গোলে এগিয়ে সিনসিনাটি। শেষ বাঁশি বাজতে আর সর্বোচ্চ ২ মিনিট বাকি। ঠিক তখনই মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে নিখুঁত ক্রস বাড়ালেন মেসি। বল বাতাসে ভাসছে, চোখ ফেরালেন না মায়ামি ফরোয়ার্ড লিওনার্দো ক্যাম্পানা। শুধু ঠিকঠাক মতো হেডটা করলেন। ব্যস, চোখের পলকে ম্যাচে সমতা।
ক্যাম্পানার প্রথম গোলের উৎসও মেসি। মায়ামি তখন ২–০ গোলে পিছিয়ে। ৬৮ মিনিটে ফ্রি কিক পায় মায়ামি। মেসি মাথা খাটিয়ে ফ্রি কিকটা ফেললেন ডি-বক্স বরাবর, একদম ক্যাম্পানার মাথার ওপর! একটু লাফিয়ে বাকি কাজ সারেন ইকুয়েডর ফরোয়ার্ড।
যুক্তরাষ্ট্রে যাবার পর আজই প্রথম কোনো ম্যাচে গোলবঞ্চিত থাকলেন মেসি। তবে গোল করাতে ভুললেন না। মায়ামির হয়ে ৮ ম্যাচে মেসির গোল এখন ১০টি। পাশাপাশি করেছেন ৩টি অ্যাসিস্ট। আর মেসির ছোঁয়ায় আরেকটি শিরোপার দিকে ছুটছে মায়ামি।
ইউএস ওপেন কাপের ফাইনাল ২৭ সেপ্টেম্বর। অন্য সেমিফাইনালে লড়ছে হিউস্টন ডায়নামো ও রিয়াল সল্ট লেক। এই দুই দলের মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনালে মাঠে নামবে টাটা মার্টিনোর দল।