ভারতের মাটিতে চেনা পরিবেশে বিশ্বকাপ হলেও বাংলাদেশ এই আসরটি ভুলে যেতে চাইবে। ৯ ম্যাচে মাত্র ২ জয়, হারতে হয়েছে নেদারল্যান্ডসের মতো দলের বিপক্ষেও। প্রায় সব ম্যাচেই ছিল ব্যাটারদের ব্যর্থতার মিছিল।
আগে ব্যাটিং করলে স্কোরবোর্ডে কম পুঁজি, আগে বোলিং করে কম রানে আটকে রাখলেও সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারা; বিশ্বকাপে ঘুরেফিরে এমনটাই ঘটেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ জানালেন ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণে এমন অবস্থা।
তাসকিন বলেন, ‘ব্যাটিং উইকেটে আমরা যথেষ্ট রান না করায় খানিকটা কম ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটিং করেছে প্রতিপক্ষরা। যখন থিতু হয়ে গেছে তখন আবার মেরে খেলছে। যদিও আমরা আরো ভালো বোলিং করতে পারতাম। ভারতে খেলে কেউ যদি ছয় কিংবা সাড়ে ছয় ইকনোমিতে ১০ ওভার শেষ করতে পারে এটা খুব ভালো।’
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বোলারদের যেন কিছু করার ছিল না। তাসকিনও তার নামের সঙ্গে সুবিচার করতে পারেননি। ৭ ম্যাচে মাত্র ৫ উইকেট! ২ ম্যাচে ছিলেন একাদশের বাইরে।
‘আমার কাছে মনে হলো। ভালো করতে পারিনি, সামনে আবার চেষ্টা করতে হবে। কারণ আশা করা ছাড়া তো কিছুই নেই জীবনে। না পারলে আবার চেষ্টা করতে হবে এই আরকি’-বলছেন তাসকিন। এই বিশ্বকাপের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো তাসকিনদের গুরু অ্যালান ডোনাল্ডের অধ্যায়। তাসকিন দেখছেন স্বাভাবিকভাবেই, ‘সে অসাধারণভাবে আমাদের পেস বোলিং গ্রুপকে টেইক কেয়ার করতো। ভালো হোক বা খারাপ হোক, সবসময় পাশে থাকতো। মোটিভেট করতো আর ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই উপভোগ করেছি উনার সাথে কাজ করে।’
‘সে (ডোনাল্ড) চলে গেল, এটাই পেশাদার জীবন। সব কোচই দুই বছর, চার বছর পর চলে যাবে। তার সামনের দিনগুলোর জন্য শুভ কামনা থাকল। ভবিষ্যতে আরও একজন ভালো বোলিং কোচের আশা করছি’-আরও যোগ করেন তাসকিন।