দুই দলেরই বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। এই ম্যাচ নিউ জিল্যান্ডের জন্য ছিল স্রেফ মান বাঁচানোর। আর উগান্ডার জন্য একটা প্রাপ্তি নিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করা। তাতে অবশ্য শুরুটা ভালো করেছে কেন উইলিয়ামসনের দল। দারুণ বোলিং-ফিল্ডিং করেছে তারা। কিউইদের দাপটে ১৮.৪ ওভারে ৪০ রানেই গুটিয়ে গেছে বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে আসা উগান্ডা।
আজ শনিবার (১৫ জুন) ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারায় উগান্ডা। পরপর দুই উইকেট নিয়ে উগান্ডাকে ধসিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথমে সিমন সেসাজিকে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান বোল্ট। এরপর রবিনসন অভুয়াকেও ফেরান এই পেসার।
টানা দুই বলে দুই উইকেট হারানো উগান্ডাকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন আলপেশ রমজানি ও রোনাক প্যাটেল। কিন্তু চতুর্থ ওভারেই রমজানিকে বিদায় করেন টিম সাউদি। এরপর ২ রান করে ফিরে যান রোনাকও। তাকে ফেরান মিচেল স্যান্টেনার।
একপ্রান্ত আগলে রান করার চেষ্টা করছিলেন কেনাথ ওয়াইসা। কিন্তু একা বেশিদূর যেতে পারেননি। ম্যাচের অষ্টম ওভারে রতাকে ফেরান লুকি ফার্গুসন। ১৮ বলে ১১ রান করেন কেনাথ। ১০ ওভারে উগান্ডার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেট হারিয়ে ২১ রান।
এরপর রিয়াজাত আলি শাহকে ২ রানে বিদায় করেন রাচীন রবীন্দ্র। দীনেশ নাকরানিও এই অলরাউন্ডারকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ব্রায়ান মাসাবা ও ফ্রেড আকেলাম। কিন্তু স্রোতে পড়ে বেশিদূর আগাতে পারেননি তারা। আকেলামকে ৯ রনে ফেরান সাউদি। কোনো রান না করেই ফিরে যান জুমা মিয়াগি।
শেষের দিকে লড়াই করার চেষ্টা করেন কসমাস কেওয়াটা ও মাসাবা। নবম উইকেট জুটিতে দুজন দলকে কিছুটা ভালো অবস্থানে এনে নেওয়ার চেষ্টা করতেই স্যান্টেনারের আঘাত। কেওয়াটাকে ১ রানে ফিরিয়ে উগান্ডার লেজ মুড়িয়ে দেন তিনি।
নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন টিম সাউদি। ২টি করে উইকেট নেন বোল্ট, স্যান্টেনার ও রবীন্দ্র। ১টি উইকেট ঝুলিতে পুরেন ফার্গুসন।