সারা বাংলা

কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আরও নতুন এলাকা প্লাবিত

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, গতকাল রাতে গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে, একই দিন সকালে ছিল বিপৎসীমার ৭১ সেন্টিমিটার ওপরে।

তিনি আরও বলেন, ইতিহাসে সর্বোচ্চ বেড়েছে গোমতীর পানি। এর আগে ১৯৯৭ সালে পানি বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ২৭ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।

নাঙ্গলকোট উপজেলার বাসুদাই এলাকার গৃহবধূ ফারজানা আক্তার বলেন, গতকাল আমাদের এখানে বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু পানি বাড়ছেই। এর মধ্যে সকাল থেকে আকাশে মেঘ দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

কুমিল্লা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, বন্যাদুর্গতদের মাঝে নগদ টাকা, চাল ও শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১২ লাখ টাকা এবং ৩৪০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে অন্তত ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

প্লাবিত গ্রামগুলো হলো- বুড়বুড়িয়া, খাড়াতাইয়া, নানুয়ার বাজার, কিং বাজেহুরা, মিথিলাপুর, শিকারপুর, মহিষমারা, ইছাপুরা, পয়াত, গাজীপুর, কণ্ঠনগর, মাওরা, গোপীনাথপুর, জগৎপুর ও গোসাইপুর।

পাউবো কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশরী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জমান বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে ওই স্থানের নিচ দিয়ে পানি বের হচ্ছিল। স্থানীয় লোকজন বালুর বস্তা ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু রাত পৌনে ১২টার দিকে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে।