সারা বাংলা

কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে সেকেন্ডে ছাড়া হচ্ছে ৪৮ হাজার কিউসেক পানি

উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢল ও বৃষ্টির কারণে আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা। পানির স্তর বিপৎসীমায় পৌঁছানোর কারণে কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট আড়াই ফুট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে সেকেন্ডে ৪৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের।

আব্দুজ্জাহের বলেন, পাহাড়ি ঢল এবং রাঙামাটিতে বৃষ্টিপাতের কারণে আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। বাঁধ দিয়ে পানি ছাড়া এখনো অব্যাহত রয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর বর্তমানে রয়েছে ১০৮ দশমিক ৭৬ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।

এদিকে, কাপ্তাই হ্রদে পানি থাকায় কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট বিকেল ৩টায় কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি জরুরি নোটিসের মাধ্যমে পানি ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। সে দিন রাত ১০টার দিকে বাঁধের মাধ্যমে পানি ছাড়ার কথা থাকলেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ২৫ আগস্ট সকাল ৮টা ১০মিনিট থেকে পানি ছাড়া শুরু হয়। এজন্য ভাটি অঞ্চলকে আগেই জরুরি সতর্ক বার্তা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, উজানের ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদ তীরবর্তী প্রায় ১৮ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে আছেন। জেলার বাঘাইছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর, বরকল, জুরাছড়ি উপজেলাসহ রাঙামাটি সদরের নিম্নাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে।

রাঙামাটির নানিয়ারচরের বুড়িঘাট এলাকার বাসিন্দা নাজমুল জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে বৃষ্টির কারণে আবারও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।  

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য এখন পর্যন্ত ৯২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, সাড়ে ১৫ লাখ নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, নগদ ৩ লাখ টাকা, রাঙামাটি সদর উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ১৮ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে।