নতুন আঙ্গিকে শুরু হয়েছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। তবে আগের মৌসুমে যেখানে শেষ করেছে, সেখান থেকেই শুরু করলো রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপ সেরার মঞ্চে আরও একবার নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়ে ভিএফবি স্টুটগার্টের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে রিয়াল।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘরের মাঠে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালের জয়ে একটি করে গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, অ্যান্তোনিও রুডিগার ও এন্ড্রিক। তবে পুরো ম্যাচে রিয়ালের নায়ক হয়ে রইলেন অসংখ্য সেভ করে ব্যবধান বাড়তে না দেওয়া গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ খেলতে থাকে রিয়াল। তবে পাল্টা আক্রমণ করে তাদেরকে জবাব দিতে দ্বিধা করেনি স্টুটগার্ট। চতুর্থ মিনিটে ক্রিস ফিউরিখের শট ঠেকিয়ে শুরু হয় কোর্তোয়ার কঠিন পরীক্ষা। এরপর একে একে আরও গোটা সাতেক শট রুখে দেন তিনি। বিপরীতে রিয়াল ছিল বিবর্ণ। ফলে গোলশূন্য সমতায় বিরতিতে যায় দুই দল।
প্রথমার্ধে নিজেদের খুঁজে ফেরা রিয়াল এগিয়ে যায় বিরতির পরপরই। নিজেদের অর্ধ থেকে আসা বল ধরে পায়ের কারিকুরিতে এগিয়ে যান রদ্রিগো। আগুয়ান গোলরক্ষককে এড়িয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড খুঁজে নেন এমবাপ্পেকে। ফাঁকা জালে অনায়াসে বল পাঠান ফরাসি তারকা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শুরুতেই রিয়ালের হয়ে গোল পেলেন এমবাপ্পে। ইউরোপ সেরার মঞ্চে সব মিলিয়ে এমবাপ্পের গোল হলো ৪৯টি। জ্বাতান ইব্রাহিমোভিচকে পেছনে ফেলে শীর্ষ ১০ গোলদাতার তালিকায় ঢুকলেন তিনি। বসলেন রিয়াল কিংবদন্তি আলফ্রেডো ডি স্টেফানোর পাশে।
৪৮তম মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন এমবাপ্পে। ৫৯তম মিনিটে ভিনিসিউস জুনিয়রের শট ক্রসবারে লাগে। ৬৭তম মিনিটে মিলিতাওয়ের পায়ে লেগে পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায় লেওয়েলিংয়ের শট। এই কর্নার থেকেই অবশ্য সমতা ফেরায় স্টুটগার্ট। হেডে জাল খুঁজে নেন উন্দাভ।
রিয়াল ফের এগিয়ে যায় ৮৩তম মিনিটে। লুকা মদ্রিচের কর্নারে হেডে জাল খুঁজে নেন রুডিগার। পাঁচ মিনিট যোগ করা সময়ের শেষটায় জালের দেখা পান বদলি নামা এন্ড্রিক। প্রতি-আক্রমণে বল পেয়ে দারুণ গতিতে অনেকটা এগিয়ে দূরপাল্লার শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।
এই গোল দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ রিয়ালের হয়ে অভিষেকে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করলেন এন্ড্রিক (১৮ বছর ৫৮ দিন) আগের রেকর্ডটি ছিল রাউল গঞ্জালেজের (১৮ বছর ১১৩ দিন), ১৯৯৫ সালে হাঙ্গেরির ক্লাব ফেরেন্সিভারোসের বিপক্ষে ৬-১ ব্যবধানে জয়ের ওই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এই স্প্যানিয়ার্ড।