স্পেনে অনেকবার বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন ব্রাজিলের ফুটবলার ভিনিসিউস জুনিয়র। তার জীবনকে এক প্রকার বিষিয়ে তুলেছিল বর্ণবাদী মন্তব্যকারীরা। শেষ পর্যন্ত তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। সেই প্রতিবাদে পাশে পেয়েছিলেন অনেককে। যদিও স্প্যানিশ লা লিগা কর্তৃপক্ষ শুরুতে ভুল বুঝেছিল।
তবে স্পেন ফুটবল ফেডারেশন ভিনিসিউসের পাশে ছিল। তাইতো ভিনিসিউসের জন্য ‘ওয়ান স্কিন’ অর্থাৎ ‘এক চামড়া’ নামক একটি প্রীতি ম্যাচে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মুখোমুখি হয় ব্রাজিলের। বর্ণবাদবিরোধী সেই ম্যাচে অবশ্য কেউ হারেনি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ৩-৩ গোলের সমতা নিয়ে শেষ হয় ম্যাচ।
অবশ্য এই ম্যাচে নিজেদের আরও একটু জানান দিয়েছেন স্পেনের কিশোর লামিনে ইয়ামাল ও ব্রাজিলের কিশোর এন্ড্রিক। ইয়ামাল দুর্দান্ত খেললেও গোল পাননি। তবে ব্রাজিলের বিস্ময়বালক এন্ড্রিক পেয়েছেন ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচে গোলের দেখা। অবশ্য যার জন্য এই ম্যাচ সেই ভিনিসিউস গোল পাননি।
এদিন অবশ্য ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। ১২ মিনিটের মাথায় স্পেনের ইয়ামালকে বক্সের মধ্যে জোয়াও গোমেজ ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করে স্পেনকে এগিয়ে নেন রদ্রি। ৩৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্পেনের দানি ওলমো। ইয়ামালের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে বাম পায়ের শটে জালে জড়ান ওলমো।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়া ব্রাজিল বিরতিতে যাওয়ার আগে অবশ্য একটি গোল শোধ দেয়। ৪০ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে নিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন রদ্রিগো। বিরতির পর পরই সমতা ফেরায় ব্রাজিল। ৫০ মিনিটের মাথায় কর্নার পায় সেলেসাওরা। কর্নার থেকে আসা বলে বাম পায়ের শটে গোল করেন উদীয়মান তারকা এন্ড্রিক। ইংল্যান্ডের পর স্পেনের বিপক্ষেও গোল পেলেন তিনি।
৮০ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় স্পেন। আবারও কর্নার পায় তারা। এ সময় দানি কারবাহালকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন ব্রাজিলের বারালদো। তাতে পেনাল্টি পায় স্পেন। আর পেনাল্টি থেকে রদ্রি গোল করে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করে এগিয়ে নেন দলকে।
৩-২ গোলে এগিয়ে থেকেই ৯০ মিনিটের খেলা শেষ করে স্পেন। সবাই ধরেই নিয়েছিল জিততে যাচ্ছে ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু ৯০+৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়ে যায় ব্রাজিল। এ সময় দান কারবাহাল ফাউল করেন ব্রাজিলের গালেনোকে। রেফারি পেনাল্টি দেন এবং লুকাস পাকুয়েতা গোল করে সমতা ফেরান। তাতে ৩-৩ গোলের সমতা নিয়ে শেষ হয় ব্রাজিল-স্পেনের বর্ণবাদবিরোধী ম্যাচ।