ম্যাচটা একদম হাতের মুঠোয় ছিল। শুধু প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দিলেই হতো। কিন্তু সেটাই পারলো না দক্ষিণ আফ্রিকা। ত্রিনিদাদ টেস্টের শেষদিনে একাই ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন আলিক আথানাজে। তার দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা পাওয়া হলো না প্রোটিয়াদের। ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
চতুর্থ দিন শেষে ম্যাচে এগিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।পঞ্চম দিনে ম্যাচের পরিস্থিতি মাথায় রেখে ব্যাট চালিয়ে খেলেছেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। কখনো দেখেশুনে, কখনো আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এগিয়ে গেছেন তারা। বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে এগিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
উদ্বোধনী জুটিতে টনি ডি জর্জি এবং এইডেন মারক্রাম মিলে তোলেন ৭৮ রান। টনি ডি জর্জি ৬০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিলে মারক্রামের সাথে যোগ দেন ত্রিস্টান স্টাবস। স্টাবস ব্যাট চালিয়েছেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে। এর মাঝেই ৪৮ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন মারক্রাম। স্টাবস ছুটছিলেন আপন গতিতে। মাঠের চারদিকে সমান তালে শট খেলে যাচ্ছিলেন এই তরুণ। চারে নামা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা সঙ্গ দিচ্ছিলেন তাকে। ফিফটি তুলে দলের ১৭৩ রানের মাথায় আউট হন এই ব্যাটার, স্টাবস। সেখানেই ইনিংস ঘোষণা করে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫০ বলে ৬৮ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন স্টাবস। প্রথম ইনিংসে ১২৪ রানের লিড ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে তাই জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৯৮। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই বিদায় নেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। মিকাইল লুইসও ফিরে যান ৯ রান করে। পরের গল্পটা আথানাজের।
দারুণ দৃঢ়তায় এক প্রান্ত আগলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন আথানাজে। বাকি ব্যাটাররাও যতটা পেরেছেন সঙ্গ দিয়েছেন। এদের মধ্যে কেসি কার্টি খেলেন ৫৪ বলে ৩১ রানের ইনিংস। এরপর কাভেম হজও খেলেন ৫৫ বলে ২৯ রানের ইনিংস। কিন্তু টলানো যাচ্ছিলো না আথানাজেকে।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফিফটি হাঁকিয়ে ছুটতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে সেঞ্চুরি থেকে একদম হাত ছোঁয়া দূরত্বে থাকা অবস্থায় থামতে হয়েছে তাকে। দলের ১৯২ রানের মাথায় ১১৬ বলে ৯২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে আউট হন আথানাজে। বাকি সময়টায় কোনো বিপদ হতে দেননি জেসন হোল্ডার এবং জশুয়া ডা সিলভা।
শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫৬.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান তোলার পর দিনের খেলা শেষ হয়। ৭৬ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত ছিলেন হোল্ডার। অন্যদিকে জশুয়া ১০ বলে ২ রান করে টিকে ছিলেন।