সাকিব আল হাসান নেই। কিন্তু থেমে নেই তাকে নিয়ে আলোচনা কিংবা তাকে ঘিরে নানা কর্মসূচি, মিছিল-স্লোগান। প্রতিদিনের মতো আজও মিরপুরে হাজির হয়েছিলেন ভক্ত-সমর্থকরা। অথচ একদিন বাদেই মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে বাংলাদেশ আতিথেয়তা দেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলকে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশ কিছুটা সংকটময় সময় অতিবাহিত করছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটেও একই পরিস্থিতি বিরাজমান। এমন সময়ে ২২ গজে বাকিদের মন ধরে রাখার কাজটা কঠিন। সেই কাজটাই করতে হচ্ছে শান্ত, মুশফিক, মুমিনুলদের।
বাংলাদেশের নতুন কোচ ফিল সিমন্সের প্রথম চ্যালেঞ্জ এখন ক্রিকেটারদের মনোযোগ ধরে রাখা। মাঠের বাইরের সবকিছুকে দূরে ঠেলে ২২ গজে লড়াইয়ের মন্ত্র দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই কোচ। নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে হাসিমাখা মুখ নিয়েই সিমন্স সামলেছেন গণমাধ্যম, ‘ভালো বিষয় হলো, আমাদের সামনে খুব গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট ম্যাচ। আমরা যদি পরবর্তী কিছু ম্যাচ জিততে পারি, (টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের) ফাইনালের লড়াইয়ে চলে আসতে পারি। আমার অগ্রাধিকার সবসময় ক্রিকেট এবং সোমবারের (প্রথম টেস্টের প্রথম দিন) জন্য দলকে তৈরি করার দিকে।’
‘গত দুই দিন ছিল দারুণ (অনুশীলন)। ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। ক্রিকেটকে ঘিরে যত সংশয় ছিল, সেগুলো সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। মনোযোগ ধরে রেখে সোমবারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার চেষ্টা করছি।’- যোগ করেন তিনি।
মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স। ছবি: বিসিবি
মাঠের বাইরে কোথায় কি হচ্ছে সেসব নিয়ে চিন্তা না করে পাঁচদিন সাদা পোশাকের ক্রিকেটে কিভাবে ছেলেরা মনোযোগ ধরে রাখতে পারবে সেদিকেই জোর দিচ্ছেন তিনি, ‘এটি (বাইরের ঘটনায় মনোযোগ হারানো) বড় ভাবনার বিষয়। সামনের কয়েক দিনে এটিই আমাদের কাজের বড় একটা অংশ হবে, (ক্রিকেটাররা) যাতে ক্রিকেটের বাইরের কিছু নিয়ে চিন্তা না করে, মাঠের ক্রিকেটে সব মনোযোগ থাকে। আমরা কেবল সেসব নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, যা আমাদের হাতে আছে। সোমবারের জন্য কীভাবে প্রস্তুত হব, আমরা তা করতে পারি। এভাবেই দলের মনোযোগ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি।’
উপমহাদেশের ক্রিকেটে বাইরের কেউ কোচ হয়ে এলে কঠিন সময় কাটাতে হয়। ভাষাগত সমস্যা, সংস্কৃতিগত সমস্যা, মানসিকতার ব্যাপারও থাকে। সেসব পাশ কাটানো অনেকের পক্ষেই কঠিন হয়ে যায়। সিমন্স এর আগে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের সঙ্গে লম্বা সময় কাজ করেছেন। তার বিশ্বাস সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মিরপুরে প্রিয়জন হয়ে উঠবেন।
তার ভাষ্য, ‘যে কোনো আন্তর্জাতিক দলের কোচের চাকরিই ‘হট সিট।’ আপনি বলতে পারেন, বাংলাদেশ ভিন্ন বা পাকিস্তান ভিন্ন। তবে আমার কাছে বিষয়টা হলো ক্রিকেটারদের তৈরি করা, সব কিছু উপভোগ করা এবং ম্যাচ জেতা। এই মুহূর্তে আর কিছু নিয়ে ভাবছি না। গত দুই দিন সব কিছু খুব ভালো গেছে।’