বান্দরবানে সন্ত্রাসী বিরোধী যৌথ বাহিনীর অভিযানে জাতিগত সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্য নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের শ্যারনপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর সদস্যরা। নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা কেএনএফের সদস্যদের অবস্থান টের পেয়ে চিম্বুক পাহাড়ের ফারুক পাড়ার কাছে শ্যারন পাড়ায় অভিযান চালায়। এ সময় সেখানে গুলির শব্দ শোনা যায়।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বলেন, ‘যৌথ বাহিনীর অভিযানে এক কেএনএফ সদস্য নিহতের খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হবে।’ অস্ত্রসহ আহত এক কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
এদিকে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে সদর থানা পুলিশ দুই কেএনএফ সদস্যের লাশ নিয়ে আসে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক জোয়েল ত্রিপুরা রাইজিংবিডি-কে বলেন, সদর থানা পুলিশ দুটি লাশ মর্গে নিয়ে এসেছে। এখন লাশ দুটির ময়নাতদন্ত করা হবে।
এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
গত ২ ও ৩ এপ্রিল রান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় কেএনএফ সদস্যরা ব্যাংক ডাকাতি করে। একই সঙ্গে ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র, ৪১৫টি গুলি লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর অস্ত্র উদ্ধার ও কেএনএফ সদস্যদের গ্রেপ্তারে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন কেএনএফ সদস্য নিহত ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২৫ নারীসহ শতাধিক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।