বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ও আহতদের পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার এবং আহত ২৭ জনের পরিবাররের সদস্যদের হাতে ৫ হাজার করে টাকা করে তুলে দেন জেলা প্রশাসক। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে যাদের আর্থিক সচ্ছলতা নেই তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরূপ ১৪ কেজির খাদ্যসামগ্রী প্রদানেরও কথা বলেন তিনি। এছাড়া তাৎক্ষণিক কয়েকটি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থের পাশাপাশি খাদ্য সামগ্রীও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার পর রথের চূড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে: ইসকন নেতা
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম রথযাত্রা শুধু নয় যেকোনো ধর্মীয় উৎসবের আগেই তাদের অবগতকরণের মধ্য দিয়ে সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী ১৫ই জুলাই উল্টো রথযাত্রার আগে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেজবাউল করিমের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শফিউল আজম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজা পারভীন, শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহসিয়া তাবাসসুম, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাগর কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক নির্মল রায়, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরিমল প্রসাদ রাজ, গোপাল তেওয়ারি প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন। রোববার (৭ জুলাই) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী আমতলা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- অলোক, আতশি রানী, রঞ্জিতা, নরেশ মোহন্ত ও জলি রানী সাহা।
পুলিশ জানিয়েছে, বিকেল ৫টার দিকে সেউজগাড়ী ইসকন মন্দির থেকে রথযাত্রা বের হয়। সেউজগাড়ী আমতলা এলাকায় পৌঁছালে রথের চূড়াটি সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়া উচ্চ ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসে। এতে আগুন ধরে যায়। এ সময় রথের ওপরে বসে থাকা এবং নিচে থাকা অনেকে আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করেন।