সরকার পতনের হাওয়ায় টালমাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মাঠের ক্রিকেটে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর চেষ্টা থাকলেও ভেতরের অবস্থা এখনো বৈরি। বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনসহ শীর্ষস্থানীয় সব কর্তাদের কাউকেই দেখা যাচ্ছে না।
এমন অবস্থায় বিসিবিকে বিশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কোচ, বিশ্লেষক ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব নাজমুল আবেদীন ফাহিম। শনিবার (১০ আগস্ট) মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবিকে ঢেলে সাজানোর কথাও বলেছেন তিনি।
ফাহিম বলেন, ‘আমি যেহেতু খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি, আমার মনে হয় না বিসিবি খুব একটা সুশৃঙ্খল সংস্থা। বাইরে থেকে এর চাকচিক্য দেখে হয়তো মনে হয় বিসিবি খুব দারুণ একটা সংস্থা। বিসিবির যে সুযোগ ছিল, সেটার ম্যাক্সিমাম ইউটিলাইজেশন হয়নি। অনেক কারণেই হয়নি। অনেক ইচ্ছাকৃত ভুলের কারণে হয়নি।’
‘আমার মনে হয় এখানে পরিবর্তন আনা দরকার। এখানে যে অনিয়ম হয় ভেতরে ভেতরে, সেটার পরিবর্তন আনা দরকার। কারণ এগুলো শক্তিশালী করতে পারলে আমাদের অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান হবে।’- যোগ করেন ফাহিম।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন ফাহিম। বিসিবিতে কাজ শুরু করেছিলেন কোচ হিসেবে। এরপর হাইপারফরম্যান্স ইউনিট, ক্রিকেট একাডেমি, বয়সভিত্তিক দল এবং সর্বশেষ নারী বিভাগে কাজ করেছিলেন ফাহিম। বিসিবির চাকরির পর বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।
সরকার পতনের পর বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পাকিস্তান সফর পিছিয়ে যায় তিন দিন। আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের অনুশীল শুরু হয়নি এখনো। কোচিং স্টাফের কোনো সদস্য এমন পরিস্থিতি বের হচ্ছেন না। এ সব দেখার জন্য যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা এখন বিসিবিতেই আসছেন না। বিশেষ করে ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস আছেন আড়ালে।
তাদের সমালোচনা করে ফাহিম বলেন, ‘তারা যদি ক্রিকেটের সত্যিকার অর্থেই সেবক হতেন, তাহলে কিন্তু তারা আসতেন। আমার মনে হয় না তারা ক্রিকেটের সেবক ছিলেন। তাদের নিজস্ব অ্যাজেন্ডা ছিল। সে অ্যাজেন্ডাই তারা বাস্তবায়ন করেছেন। আমরা দেখেছি ক্রিকেটের কী হয়েছে। ক্লাব ক্রিকেট বলি, পুরো খেলাটাকেই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।’ ‘আমার মনে হয় দায়টা সবচেয়ে বেশি নেতৃত্বের। নেতৃত্ব যদি ঠিক থাকে তাহলে বাকি জিনিসগুলো এমনিতেই চ্যানেলাইজ হয়ে যায়। এখন আইসিসির আইন সংক্রান্ত অনেক বিষয় আছে’-আরও যোগ করেন ফাহিম।