নগরীকে যানজটমুক্ত, জলাবদ্ধতা নিরসন, দুর্নীতিমুক্ত নগর ভবন গড়াসহ ৩৪ প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর এই প্রথম কোনো প্রার্থী ইশতেহার ঘোষণা করলেন।
বুধবার (১৭ মে) দুপুরে গাজীপুর প্রেসক্লাব সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে ইশতেহার পড়ে শোনান তিনি।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান জানান, নগরবাসী তাকে নির্বাচিত করলে ইশতেহারে থাকা সবকটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গাজীপুরকে একটি উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানবিক শান্তির নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হবে। একই সঙ্গে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত, বিশেষজ্ঞ কমিটি, নগর সরকার, দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড, জাকাত বোর্ড গঠন করবেন বলেও ইশতেহারে উল্লেখ করেন হাতপাখা প্রতীকের এই প্রার্থী। ৩৪ দফা ইশতেহার তুলে ধরে তিনি ঘোষণা দেন জয়ী হলে নগর ভবন ধনী-গরিব সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ইশতেহারে গাজী আতাউর রহমান বলেন, গাজীপুর নগরীকে যানজটমুক্ত, জলাবদ্ধতা নিরসন, দুর্নীতিমুক্ত নগর ভবন, পরিকল্পিত দুর্ভোগ নিরসন, স্বজনপ্রীতি মুক্ত, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, নদী দূষণ, পানি সমস্যা সমাধান, নাগরিকদের নিরাপত্তা, ফুটপাত দখলমুক্ত, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হবে। এছাড়াও নগর স্বাস্থ্য প্রণয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, বাসা ভাড়া প্রণয়ন, ভিক্ষুক, হকার, ছিন্নমূল ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের পুনর্বাসন, নারীবান্ধব গণপরিবহণ, সমাজ নিয়ে উন্নয়ন চিন্তা, হকার, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত নগর গড়ে তোলা হবে। নির্বাচনী এই ইশতেহার বাস্তবায়নে নগরবাসীর মতামত নেবেন বলেও জানান তিনি।
তিনি অরো বলেন, কাউকে ভোট দেওয়া কোনো আবেগ বা দলীয় বিষয় নয়। এটি একটি নৈতিক বিষয়। যাকে তাকে ভোট দেওয়া ইসলাম সম্মতও নয়। ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য ক্ষতিকর ব্যক্তিকে ভোট দেওয়া মারাত্মক গুনার কাজ। দলীয়, আবেগ, ব্যক্তির প্রভাব, আত্মীয় বা প্রতিবেশী হওয়ায় ভোট পাওয়ার যোগ্যতা নয়। তিনিই ভোট পাওয়ার যোগ্য যার মাধ্যমে সমাজ ও মানুষের কোনো ক্ষতি হবে না। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তিনি জনগণের মুখোমুখি হওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন এসময়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজীপুর মহানগর সভাপতি ফাইজ উদ্দিন আহমদ, সহ-সভাপতি মাওলানা এম এ হানিফ সরকার, যুগ্ন সম্পাদক অধ্যক্ষ মুফতি শহীদুল ইসলাম, সহকারী সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম সাইদুর রহমান, প্রচার ও দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক এস এস ওয়াহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, যুব অন্দোলনের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আব্দুল হালিম চৌধুরী প্রমুখ।