সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ, মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত এবং দমকা হাওয়ার মধ্য দিয়ে উল্লেখযোগ্য কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রামে অনেকটা শান্ত ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
রোববার রাত ১০টার পর থেকে আজ (সোমবার) ভোর ৬টা পর্যন্ত রাতভর চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী এবং নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় দমকা হাওয়া বয়ে গেছে রেমালের প্রভাবে। এছাড়া সমুদ্রে উত্তাল ঢেউয়ের পাশাপাশি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকফুট উচ্চতায় উঠে এসেছে জোয়ারের পানি, তবে এতে কোনো লোকালয় প্লাবিত হয়নি।
সোমবার (২৭ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র সৈকত এলাকাসহ সমুদ্র তীরবর্তী চট্টগ্রামের উপজেলাসমূহে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাতভর বৃষ্টিপাত এবং দমকা হাওয়ার মধ্য দিয়েই তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই শান্ত হয়ে গেছে ঘুর্ণিঝড় রেমাল । কোথাও কোন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহাণির খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা নুরুল করিম জানিয়েছেন, রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে রাত ১২টা থেকে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। কখনো ভারি আবার কখনো মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরী ও উপজেলা সমূহে। একই সাথে দমকা হাওয়া বইছে। এছাড়া সমুদ্রে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকফুট উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জোয়ারের পানি। এদিকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া কর্মকর্তা।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকার বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। কখনো ভারি আবার কখনো হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উত্তাল সমুদ্রে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। জোয়ারের পানির উচ্চতা কয়েক ফুট বৃদ্ধি পেলেও কোনো লোকালয় প্লাবিত হয়নি।