বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আশ্রয়কেন্দ্র অথবা নিরাপদ স্থানে যাচ্ছেন না লক্ষ্মীপুরের প্রত্যন্ত এলাকার পানিবন্দি মানুষরা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এসব মানুষদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না প্রয়োজনীয় ত্রাণ সমগ্রী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রশাসন থেকে জানা গেছে, জেলার প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। তাদের অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে ও স্বজনদের বাড়িতে উঠেছেন।
বুধবার (২৮ আগস্ট) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি, দিঘলী, চরশাহী, বাঙ্গাখাঁ ও মান্দারী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় পানির কারণে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। যে কারণে সেখানকার মানুষদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। এসব এলাকায় ত্রাণ বিতরণে নৌকার কোনো বিকল্প নেই। মান্দারী-দিঘলী সড়ক পানিতে ডুবে থাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে।
এনজিও সংস্থা জেমস এর নির্বাহী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান জানান, লাহারকান্দি ইউনিয়নের খাজুরগাছতলা এলাকায় তিনি ত্রাণ নিয়ে গেছেন। সেখানের মানুষ খাদ্য অভাবে আছেন। আশ্রয়কেন্দ্রেও তেমন ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না।
লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের তেরবেকী এলাকার বাসিন্দা খুরশিদা বেগম বলেন, ‘আমাদের ঘর পানিতে ডুবে যাওয়ায় প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। সেখানেও ঘরসহ চারপাশ পানিতে ডুবে আছে।’
লাকি বেগম বলেন, ‘বাড়িতে চুরি হওয়ার ভয়ে আমরা ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছি না। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে আমরা কোনো সহায়তাও পাচ্ছি না।’
সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের গৃহবধূ রাবেয়া বেগম বলেন, পানিবন্দি হয়ে স্বামী-সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছি। বাড়ির মূল্যবান আসবাবপত্র যাতে চুরি হয়ে না যায় সে কারণে বাড়িতে থাকতে হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, নোয়াখালীর পানি লক্ষ্মীপুরে অনবরত ঢুকছে। তবে, পানি কমতে শুরু করেছে। এছাড়া, রায়পুর ও রামগঞ্জেও পানি কমছে। রামগতি ও কমলনগরে বেড়িবাঁধের বাইরে ভুলুয়া নদী এলাকায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন। সেখানে পানি কমতে শুরু করেছে।